odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Sunday, 16th November 2025, ১৬th November ২০২৫
করোনাভাইরাস

শত দুঃসংবাদের মাঝেও কিছু মন-ভালো করা খবর

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৩০ March ২০২০ ২১:৫২

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৩০ March ২০২০ ২১:৫২

 

করতালি দিয়ে স্বাস্থ্য়কর্মীদের অভিনন্দন জানানো হয়েছে অনেক দেশেকরতালি দিয়ে স্বাস্থ্য়কর্মীদের অভিনন্দন জানানো হয়েছে অনেক দেশে

করোনাভাইরাস সংক্রমণ সারা পৃথিবীজুড়ে বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে ইতিবাচক বা মন ভালো করার মতো খবর পাওয়া কঠিন। কিন্তু ভালো খবর যে একেবারেই নেই তা নয়। তারই কয়েকটি এখানে।

বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি হচ্ছে

সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে বৈজ্ঞানিকদের দিকে - কবে তারা করোনাভাইরাসের একটি টিকা তৈরি করবেন।

আসলে একটি নয়, বেশ কিছু টিকা তৈরি হচ্ছে। অবশ্য টিকা তৈরি হতে সময় লাগে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এক বছর থেকে ১৮ মাস সময়ের আগে এই টিকা প্রস্তুত হবে না।

তবে যেহেতু বিজ্ঞানীরা দ্রুত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তাই ভাইরাস সম্পর্কে আরো নতুন নতুন তথ্য জানা যাচ্ছে।

যেমন এ সপ্তাহেই কোভিড নাইনটিনের জেনেটিক কোড সম্পর্কিত এক গবেষণায় জানা গেছে যে এই সার্স-কোভ-টু ভাইরাস নতুন হোস্টের দেহে প্রবেশ করলে খুব কমসংখ্যক মিউটেশন হয়।

তা যদি ঠিক হয় তাহলে একটি মাত্র টিকা দিয়েই একজন মানুষের দেহে দীর্ঘ দিনের জন্য রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে দেয়া যাবে। এটা টিকা প্রস্তুতকারকদের জন্য ভাল খবর, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

চীনে লোক চলাচলের ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা উঠেছে
চীনে লোক চলাচলের ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা উঠেছে

চীন বিধিনিষেধ শিথিল করছে

অন্তত এখনকার মত চীন বিশ্বাস করছে যে করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত জরুরি অবস্থাকে তারা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে নিয়ে এসেছে।

স্থানীয়ভাবে হওয়া সংক্রমণ এখন খুবই কম। নতুন যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তারা বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আসা।

ফলে চীনে রোগ ছড়ানো ঠেকাতে যেসব বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল তা এখন শিথিল করা হচ্ছে।

চীনের যে উহান শহর থেকে করোনাভাইরাস মহামারির সূচনা হয়েছিল - সেই শহরটি দুই মাসেরও বেশি সময় অবরুদ্ধ রাখার পর আজ আংশিকভাবে খুলে দেওয়া হয়েছে।উহান শহর পুরোপুরি খুলে দেয়া হবে আগামী ৮ই এপ্রিল।

চীনের রাজধানী বেইজিংএ মানুষ এখন মুক্ত বাতাসে শ্বাস নিতে পারছে। অবশ্য নতুন করে সংক্রমণ শুরু হবার সম্ভাবনা এখনো আছে - কিন্তু চীন চেষ্টা করছে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে।

সংকটের মধ্য়েও আশাবাদ প্রকাশ করতে বাড়ির জানালায় রংধনু বানিয়েছে এই শিশুসংকটের মধ্য়েও আশাবাদ প্রকাশ করতে বাড়ির জানালায় রংধনু বানিয়েছে এই শিশু

ইতালি ও স্পেনেও হয়তো পরিস্থিতির মোড় ঘুরতে শুরু করেছে

গত চারদিন ধরেই ইতালিতে নতুন সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা - দুটোই কমছে।

ইতালির ডেপুটি স্বাস্থ্যমন্ত্রী পিয়েরপাওলো সিলেরি বিবিসিকে বলেন, আগামি ১০ দিনের মধ্য়ে আক্রান্তের সংখ্য়া উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে বলে তিনি আশা করেন।

বুধবার নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩হাজার ৬১২ জন যা গত চার দিনের তুলনায় কম। এর পর বৃহস্পতিবার সংখ্যা আবার বেড়েছে কিন্তু শুক্রবার চিত্রটা ছিল মিশ্র। এটাকে একটা আশাপ্রদ চিত্র বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্পেনের কর্মকর্তারা বলছেন, তারা মনে করেন যে এ দুটি দেশে সংক্রমণ এখন সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে বা এর খুব কাছাকাছি চলে এসেছে।

স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রশংসিত হচ্ছেন

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডাক্তার, নার্স এবং অন্য স্বাস্থ্যকর্মীরা।

আমেরিকার জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, সারা পৃথিবীর ৫ লক্ষ আক্রান্তের মধ্যে ১ লক্ষ ৩০ হাজারের মতো লোক সেরে উঠেছেন।

অনেক দেশেই সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্যখাতে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যোগ দিচ্ছেন - যা পেশাদার স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিভূত করেছে।

BBC 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: