odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Sunday, 16th November 2025, ১৬th November ২০২৫
উইঘুর মুসলিম

উইঘুর মুসলিমদের ওপর চীনে গণহত্যা চলছে; কানাডা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৩ February ২০২১ ১৯:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৩ February ২০২১ ১৯:২২

নিজস্ব প্রতিবেদক

 

চিনের জিনজিয়াং প্রদেশের উইঘুর মুসলিম অধ্যুষিক অঞ্চলের আগের নাম ‘পূর্ব তুর্কিস্তান’। এটির বর্তমান চীন সরকার এ অঞ্চলকে জিনজিয়াং নাম দিয়েছে।

৯০ লাখ মুসলিম অধ্যুষিত এ অঞ্চলের প্রায় ১০ লাখ উইঘুর নারী-পুরুষ বন্দি রয়েছে সুরক্ষিত বন্দি শিবিরে।

সম্প্রতি আমেরিকা চিনের বিরুদ্ধে উইঘুর মুসলিমদের ওপর গনহত্যার অভিযোগ তোলেন।

এর সমার্থনে সোমবার ( ২২ ফেব্রুয়ারি) উইঘুর ইস্যুতে কানাডার পার্লামেন্টে চীনের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে।

প্রস্তাবটি পাস হওয়ার পর বলা হয়েছে শিনজিয়াং অঞ্চলে বসবাসকারী মুসলিম উইঘুর সংখ্যালঘুদের সঙ্গে চীনের আচরণ গণহত্যা হিসেবে চিহ্নিত।

ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টি চীনের বিরুদ্ধে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সরকারকে গণহত্যার মামলা পরিচালনা করার জন্য বলেছেন।

পার্লামেন্টে বিরোধী কনজারভেটিভ পার্টির আনা এই প্রস্তাবটি ২৬৬-০ ভোটে কানাডার হাউস অফ কমন্সে পাস হয়েছে। তবে, ট্রুডো এবং তার মন্ত্রিসভা ভোটদানে বিরত ছিলেন, যদিও অন্যরা এটিকে ব্যাপকভাবে সমর্থন দিয়েছেন।

কানাডার পার্লামেন্ট ২০২২ সালের শীতকালীন অলিম্পিক বেইজিং থেকে সরিয়ে নিতে আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

উইঘুর ইস্যুতে ট্রুডোকে রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বীরা চীনকে আরও কঠোরভাবে চাপ দিতে বলেছেন।

তবে, শিনজিয়াংয়ে কখনোই কোনো গণহত্যা, বাধ্যতামূলক শ্রম ও ধর্মীয় নিপীড়নের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে বেইজিং।

উইঘুরদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের সাক্ষ্য, দলিল ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে কনজারভেটিভ দলের আইনজীবী মাইকেল চং বলেন, আমরা আর এটিকে উপেক্ষা করতে পারি না। আমাদের এটিকে অবশ্যই বলা উচিত ‘গণহত্যা’।

ট্রুডো গণহত্যা শব্দটি ব্যবহারে অনিচ্ছুক এবং তিনি পরামর্শ দিয়েছেন যে চীনা মানবাধিকার ইস্যুতে পশ্চিমা মিত্রদের মধ্যে বিস্তৃত বাড়ানোয় হবে সর্বোত্তম পন্থা।

এদিকে, দেশটির এক সরকারি সূত্র জানিয়েছে, ট্রুডো ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার বিকেলে ভার্চুয়াল দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন এবং এসময় চীনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, চীন সরকারের জুলুম অত্যাচার থেকে বাঁচার লক্ষ্যে জিনজিয়াংয়ের প্রায় ২৫ লাখ অধিবাসী পার্শ্ববর্তী দেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছে। নানা অজুহাতে উইঘুর মুসলিম নেতৃস্থানীয়দের জেল-জুলুম এমনকি মৃত্যুদণ্ড দিচ্ছে সরকার।

শহীদুল /



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: