odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

‘আইসিসির অভিশাপ’ ঘুচল তামিমের

Admin 1 | প্রকাশিত: ১ June ২০১৭ ১৯:২২

Admin 1
প্রকাশিত: ১ June ২০১৭ ১৯:২২

শিরোনাম পড়েই অনেকে বাঁকা চোখে তাকাতে পারেন। আইসিসি শব্দটা তামিমের জন অভিশাপ নাকি! তামিম ইকবালকে যে বিশ্ব চিনল বিশ্বকাপ দিয়েই। ২০০৭ সালে দুই ধাপ এগিয়ে জহির খানকে মারা ছক্কাগুলো তো এখনো চোখে ভাসে সবার।

তবে বাস্তবতা হচ্ছে, শুরুটা যা-ই হোক না কেন, আজকের ইনিংসের আগে আইসিসির ওয়ানডে টুর্নামেন্ট মানে যেন একটা অভিশাপ ছিল তামিমের জন্য। ২০০৭ বিশ্বকাপ ফিফটি দিয়ে শুরু করেছিলেন। পুরো টুর্নামেন্টে সেবার ৪০-এর কোটাই আর পেরোতে পারলেন না। ২০১১ বিশ্বকাপও শুরু করেছিলেন ফিফটি দিয়ে। সেবারও প্রতিপক্ষ ভারত। কিন্তু ৭০ রানের সে ইনিংসের পর আবারও ফর্ম হারালেন। কোনো ফিফটি নেই, উল্টো দুটো শূন্য।
২০১৫ বিশ্বকাপেও সেই ধারাটাই চলল। ৬ ম্যাচে মাত্র এক ফিফটি। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ রানের সে ইনিংসটি না থাকলে টুর্নামেন্টটা ভুলে যেতেই চাইতেন তামিম। সব মিলিয়ে তিন বিশ্বকাপে ২১ ম্যাচে ৪৮৩ রান। গড় ২৩! আইসিসির আরেক ওয়ানডে টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এর আগে তো খেলাই হয়নি।
তামিমের নামের সঙ্গে একেবারেই যায় না এ সংখ্যাগুলো। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে একটি সেঞ্চুরি করে সে ধারা কাটানোর আশ্বাস দিচ্ছিলেন। কিন্তু মূল প্রতিযোগিতাতেই আবার ফর্ম হারিয়ে বসলেন তামিম। বড় টুর্নামেন্ট যেন এক ধাঁধা হয়ে উঠেছিল তামিমের জন্য।
সে ধাঁধাটা আজ কেটে গেল। ১২৪ বলে যখন সেঞ্চুরিটা পেলেন তামিম, তখন জমে থাকা একটা দীর্ঘশ্বাসও ফেলল বাংলাদেশের ক্রিকেট। এটা যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের মাত্র দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। এত দিন চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিটা ছিল শাহরিয়ার নাফীসের। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২৩ রানের ওই ইনিংস অবশেষে একটা সঙ্গী পেল। অবশ্য একটি যুক্তি আছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের, জিম্বাবুয়ের সঙ্গে সে ম্যাচের পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের এটাই যে প্রথম ম্যাচ!
আর বদলে যাওয়া তামিমকেও চিনল আইসিসির ইভেন্ট। ২০১৫ সাল থেকে এটি ওয়ানডেতে তাঁর পঞ্চম সেঞ্চুরি। এর আগের ৮ বছরে ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি ছিল মাত্র চারটি!



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: