odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

এমন পরিস্থিতি কত রানের আশা করতে পারে একটি দল?

Admin 1 | প্রকাশিত: ১৫ June ২০১৭ ২২:৪১

Admin 1
প্রকাশিত: ১৫ June ২০১৭ ২২:৪১

২৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ১৫২। এমন পরিস্থিতি কত রানের আশা করতে পারে একটি দল? বাংলাদেশের স্কোর অনায়াসে তিন শ পেরোবে বলে মনে হচ্ছিল, কী করলে ৩৩০-৩৪০ হতে পারে, ধারাভাষ্য কক্ষে এ নিয়ে আলোচনা। সেই বাংলাদেশ ভারতের লম্বা ব্যাটিং লাইনআপকে দিতে পারল ২৬৫ রানের লক্ষ্য। যে লাইনআপে অশ্বিনের মতো ‘ব্যাটসম্যান’কে নয়ে নামতে হয়, তাদের জন্য এ যে কোনো রানই না; সেটাই বুঝিয়ে দিল ভারত। কিন্তু যদি বাংলাদেশ প্রত্যাশিত স্কোরটি পেত? আর এর সঙ্গে যুক্ত হতো সেমিফাইনালের চাপ?
প্রতিপক্ষ শিবিরে ত্রাস ছড়ানোর মতো বোলিং লাইনআপ ছাড়া বড় টুর্নামেন্টে যে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়, এই উপলব্ধিও নিশ্চয়ই হলো বাংলাদেশের। বোলাররা তাঁদের দায় নেবেন, কিন্তু ব্যাটসম্যানরা?
বাংলাদেশের ওই স্কোরটাও এসেছে মাশরাফির এলোপাতাড়ি ব্যাট ঘুরিয়ে ২৫ বলে ৩০ রানের ইনিংসটা খেলেছেন বলে। না হলে ৪৫তম ওভারেই তো রান তোলার শেষ ভরসাও হারিয়েছে বাংলাদেশ। ১১ রানের মধ্যে ফিরে গেছেন শেষ দুই স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মোসাদ্দেক হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ। ২২৯ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে আড়াই শ রান করতে পারবে কি না, সে অপেক্ষায় ধুঁকে ধুঁকে এগিয়েছে বাংলাদেশ।
অথচ এর আগে বাংলাদেশের স্কোর নিশ্চিতভাবে তিন শর দিকে ছুটছিল। ২৮তম ওভারের শেষ বল থেকে ৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বল—এই ৪৫ বলের মধ্যে ২৫ রান করেছে বাংলাদেশ। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, এর মাঝেই ফিরে গেছেন তামিম, সাকিব, মুশফিক। এই তিন স্তম্ভকে হারিয়ে বাংলাদেশের রানের চাকা শ্লথ হয়ে যায়। ২৮ ওভারের পর ওভারে ৬ বা এর বেশি রান নিতে পেরেছে মাত্র ৮ বার। অথচ এই সময়েই তো ঝড় তোলার কথা ছিল বাংলাদেশের! হাতে ছিল ৮ উইকেট।
কোহলির কেদার-বাজিটা দারুণভাবে লেগে গেল বলেই পথ হারাল বাংলাদেশ। ১২৩ রানের তৃতীয় উইকেট জুটির পর বাংলাদেশ ছুটছিল দুরন্ত গতিতে। ৭০ রান করে তামিম ইকবাল ফেরার পরও আঁচটা সেভাবে গায়ে লাগেনি। উইকেটে তখন ফর্মে থাকা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম।
কিন্তু কাট করতে গিয়ে সাকিব ফিরলেন ৩৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে। পরের ওভারেই এর চেয়ে বাজে এক শট খেলে আউট হয়েছেন মুশফিক। কেদার যাদবের ফুল টসে অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে ক্যাচ দিয়েছেন মুশফিক (৬১)। দুটি ঘটনাই ঘটল ৭ বলের ব্যবধানে।
এই ৭ বল সব গড়বড় করে দিল। বাংলাদেশ অবশ্য সবচেয়ে বেশি আক্ষেপ করবে ২৮তম ওভারের শেষ বল থেকে ৩৬তম ওভারের দ্বিতীয় বল পর্যন্ত ৪৫ বলের সময়টা নিয়ে। এ সময় ২৫ রানের মধ্যে ফিরে গেছেন তামিম, সাকিব, মুশফিক। এই তিন স্তম্ভকে হারিয়ে বাংলাদেশের রানের চাকা শ্লথ হয়ে যায়। এরপর মাহমুদউল্লাহ ও মোসাদ্দেকও পরিস্থিতি সামলে নিতে পারেননি। ৭০ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ পরিণত হয়েছিল ৭ উইকেটে ২২৯। যেটি ছিল ২ উইকেটে ১৫৯!
বাংলাদেশের শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি। ৩১ রানে ২ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই রান পাননি সৌম্য-সাব্বির। জ্বলে উঠতে পারেননি আজও। পরে বাংলাদেশের স্কোরের পাশে জরিমানার ৫ রান যোগ হওয়ায় যেটি দেখাচ্ছে ৩৬ রানে ২ উইকেট।
ভাগ্যকে আজ পাশে পেয়েছে বাংলাদেশ। হাফ চান্সগুলো পক্ষে ছিল। তামিম নিজে যেমন বোল্ড হয়েও একবার বেঁচে গেছেন হার্দিক পাণ্ডিয়া নো বল করায়। এমনকি ধোনির কারণে পাওয়া ৫ রানের জরিমানাটিও। কিন্তু এর সর্বোচ্চ ফায়দা কি নিতে পারল বাংলাদেশ? প্রশ্নটা থেকে গেল।

টস: ভারত

বাংলাদেশ

 

রান

বল

তামিম ব কেদার

৭০

৮২

সৌম্য ব ভুবনেশ্বর

সাব্বির ক জাদেজা ব ভুবনেশ্বর

১৯

২১

মুশফিক ক কোহলি ব কেদার

৬১

৮৫

সাকিব ক ধোনি ব জাদেজা

১৫

২৩

মাহমুদউল্লাহ ব বুমরা

২১

২৫

মোসাদ্দেক ক ও ব বুমরা

১৫

২৬

মাশরাফি অপরাজিত

৩০

২৫

তাসকিন অপরাজিত

১০

১৪

অতিরিক্ত (লেবা ৯, ও ৭, নো ২, পে ৫)

২৩

 

 

 

মোট (৫০ ওভারে, ৭ উইকেটে)

২৬৪

 

 

 

উইকেট পতন: ১-১ (সৌম্য, ০.৬ ওভার), ২-৩১ (সাব্বির, ৬.৫), ৩-১৫৪ (তামিম, ২৭.৬), ৪-১৭৭ (সাকিব, ৩৪.২), ৫-১৭৯ (মুশফিক, ৩৫.২), ৬-২১৮ (মোসাদ্দেক, ৪২.৩), ৭-২২৯ (মাহমুদউল্লাহ, ৪৪.৬)।

বোলিং: ভুবনেশ্বর ১০-১-৫৩-২ (ও ১), বুমরা ১০-১-৩৯-২, অশ্বিন ১০-০-৫৪-০ (ও ৩), পান্ডিয়া ৪-০-৩৪-০ (নো ২, ও ২) জাদেজা ১০-০-৪৮-১, কেদার ৬-০-২২-২ (ও ১)।

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: