odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

স্বপ্নের ফাইনাল ভারত-পাকিস্তান

Admin 1 | প্রকাশিত: ১৭ June ২০১৭ ১২:০১

Admin 1
প্রকাশিত: ১৭ June ২০১৭ ১২:০১

এমনিতেই এটা বারুদ ম্যাচ। ক্রিকেটে ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হওয়া মানেই রুদ্ধশ্বাস উত্তেজনা। শেষ পর্যন্ত ফল যা-ই হোক, ম্যাচ নিয়ে সেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে দুই দেশ ছাড়িয়ে সারা ক্রিকেট-বিশ্বে। আর এমন একটা ম্যাচ যদি হয় চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে, সেটি তো ক্রিকেট বিশ্বের কাছে স্বপ্নের ম্যাচ।

দ্বিপাক্ষিক সিরিজ অনেক দিন ধরেই বন্ধ বলে এখন এই দুই প্রতিবেশী দেশ মুখোমুখিই হয় শুধু আইসিসি আর এশিয়ান টুর্নামেন্টগুলোয়। এই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই গ্রুপ পর্বে একবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। তবে ফাইনালের উত্তেজনা যে নিঃসন্দেহে এর চেয়ে অনেক বেশি থাকবে, সেটি বলা বাহুল্য!

আইসিসির টুর্নামেন্টে এর আগে একবারই ভারত-পাকিস্তান ফাইনাল হয়েছে। ২০০৭ সালে প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে। জোহানেসবার্গের সেই ম্যাচে মিসবাহ-উল-হককে শেষ ওভারে আউট করে ইতিহাসের পাতায় নাম তুলেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা৷ প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফিটা উঠেছিল ধোনির হাতে। ১০ বছর পর আরও একটা আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান।

এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও পাকিস্তানকে ১২৪ রানে হারিয়ে শুরু হয়েছিল ভারতের অভিযান। তবে সেই পাকিস্তান আর এই পাকিস্তানকে এখন একেবারেই আলাদা দল বলে মনে হচ্ছে। ‘বি’ গ্রুপ থেকে যে পাকিস্তান সেমিফাইনালে উঠবে, সেটাই টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ভাবা কঠিন ছিল। কিন্তু সরফরাজ আহমেদের দল শুধু গ্রুপই পেরোয়নি, স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে সেমিফাইনালে একেবারে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে এসেছে। কে ভেবেছিল যে ইংল্যান্ড গ্রুপ পর্বে কোনো ম্যাচ হারেনি তাদেরই পাকিস্তান এভাবে মাটিতে নামিয়ে আনবে!

এখন তাই কোনোভাবেই ভারতকে একতরফা ফেবারিট বলার উপায় নেই। এমনকি ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলিও বলছেন, ‘ওরা (পাকিস্তান) খুব ভালোভাবেই সব হিসাব বদলে দিয়েছে। ওদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। এমন সব দলকে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে এসেছে, আপাতদৃষ্টিতে যেসব দলকে পাকিস্তানের চেয়ে অনেক শক্তিশালী বলে মনে হচ্ছিল। এতেই বোঝা যাচ্ছে, ওরা কতটা আত্মবিশ্বাসী।’

সেমিফাইনালে অবশ্য ভারতও দুর্দান্ত দাপটের সঙ্গেই জিতেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে। এ জয় দিয়ে কি মহারণের আগে পাকিস্তানকেও একটা বার্তা দিয়ে রাখল ভারত? বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেই এ প্রশ্নটা করা হয়েছিল কোহলিকে। ভারত অধিনায়ক সোজা বলে দিয়েছেন, ‘ক্রিকেটে কোনো বার্তা দেওয়া হয় না। আজ দারুণভাবে জিতলাম বলেই ফাইনালে আমরা ফেবারিট, এমন ভাবার কারণ নেই।’ ফাইনালের আগে সবচেয়ে সত্যি বোধ হয় এই কথাটাই।

এনডিটিভি, আইসিসি ক্রিকেট।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: