odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Saturday, 15th November 2025, ১৫th November ২০২৫
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

সেমিফাইনালে খেলার আশা ঝুলে রইলো অস্ট্রেলিয়ার, বিদায় শ্রীলংকার

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৫ November ২০২২ ০৭:১৮

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৫ November ২০২২ ০৭:১৮

চলমান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখলো অস্ট্রেলিয়া।  

আজ সুপার টুয়েলভে নিজেদের পঞ্চম ও শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ৪ রানে হারিয়েছে আফগানিস্তানকে। অস্ট্রেলিয়ার এই জয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিলো এশিয়ার সেরা শ্রীলংকা। 
৫ ম্যাচে শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ডের সমান ৭ পয়েন্ট অস্ট্রেলিয়ার। রান রেটে এগিয়ে শীর্ষে নিউজিল্যান্ড। ৪ ম্যাচে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয়স্থানে ইংল্যান্ড। আগামীকাল শ্রীলংকাকে হারিয়ে রান রেটে অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে এগিয়ে থাকলেই সেমিফাইনালে খেলবে ইংল্যান্ড। ইংল্যান্ড হেরে গেলে সেমিতে খেলবে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। ৪ খেলায় ৪ পয়েন্ট শ্রীলংকার। শেষ ম্যাচ জিতলে লংকানদের পয়েন্ট হবে ৬। তাতে নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার ৭ পয়েন্টকে ধরতে বা টপকাতে পারবেন না শ্রীলংকা। 
অ্যাডিলেড ওভালে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় আফগানিস্তান। নিয়মিত অধিনায়কসহ তিন পরিবর্তন নিয়ে একাদশ সাজায় অস্ট্রেলিয়া। ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে ইনিংস শুরু করে দ্বিতীয় ওভারে আউট হন ক্যামেরুন গ্রিন। ৩ রান করে পেসার ফজলহক ফারুকির বলে আউট হন গ্রিন। 
গ্রিনের পর পাওয়ার-প্লেতে আরও ২ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। রান উঠে ৫২। ডেভিড ওয়ার্নার ১৮ বলে ২৫ ও স্টিভেন স্মিথ ৪ রান করে আউট হন। 
টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়লেও, চতুর্থ উইকেটে ২৮ বলে ৩৪ রান করে দলকে খেলায় ফেরান মিচেল মার্শ ও মার্কাস স্টয়নিস। পঞ্চম উইকেটে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সাথে ২৯ বলে ঝড়ো গতিতে ৫৩ রান যোগ করেন স্টয়নিস। 
মার্শ ৩০ বলে ৪৫ ও স্টয়নিস ২১ বলে ২৫ রান করে ফিরলেও, ইনিংসের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন ম্যাক্সওয়েল। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দশম হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসে ৩২ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। এতে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৬৮ রানের সংগ্রহ পায় অস্ট্রেলিয়া। ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন ম্যাক্সওয়েল। আফগানিস্তানের নাভিন উল হক ৩টি ও ফারুকি ২টি উইকেট নেন। 
১৬৯ রানের টার্গেটে শুরুটা ভালো হয়নি আফগানিস্তানের। তৃতীয় ওভারে ওপেনার উসমান ঘানিকে ২ রানে থামান পেসার জশ হ্যাজেলউড। দ্বিতীয় উইকেটে ইব্রাহিম জাদরানের সাথে ১৮ বলে ২৫ রান তুলে ফিরেন আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। ১৭ বলে ২টি করে চার-ছয়ে ৩০ রান করেন গুরবাজ। 
৪০ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর হাল ধরে দলকে জয়ের পথে রাখেন জাদরান ও গুলবাদিন নাইব। এই জুটির কল্যাণে ১৩ ওভারে ৯৯ রান তোলে  আফগানরা। ছয় বোলার ব্যবহারেও এই জুটি ভাঙ্গতে পারছিলেন না ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। 
১৪তম ওভারের প্রথম বলে জমে যাওয়া জাদরান-নাইব জুটি ভাঙ্গেন ফিল্ডার ম্যাক্সওয়েল। মিড উইকেট দিয়ে সরাসির থ্রোতে নাইবকে রান আউট করেন ম্যাক্সি।  আউট হওয়ার আগে ২৩ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৩৯ রান করেন নাইব। 
স্পিনার এডাম জাম্পার ঐ ওভারে আরও ২ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। জাদরান ২৬ ও নাজিবুল্লাহ জাদরান খালি হাতে ফিরেন। পরের ওভারে অধিনায়ক মোহাম্মদ নবিকে ১ রানে বিদায় দেন হ্যাজেলউড। এতে ২ উইকেটে ৯৯ থেকে ১০৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় আফগানিস্তান। লড়াই থেকে ছিটকেই পড়ে আফগানরা। 
তারপরও শেষ ওভার পর্যন্ত আফগানিস্তানকে লড়াইয়ে রেখেছিলেন রশিদ খান। শেষ ওভারে ২২ রানের প্রয়োজনে ১৭ রান নিতে পারেন রশিদ। তবে  ২৩ বলে ৪৮ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেও দলের হার এড়াতে পারেননি বিশ^ সেরা এ স্পিনার।  ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন তিনি। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৪ রান করে হার বরণ করে আফগানিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার হ্যাজেলউড-জাম্পা ২টি করে উইকেট নেন। ম্যাচ সেরা হন ম্যাক্সওয়েল।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: