odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Thursday, 13th November 2025, ১৩th November ২০২৫

এসএমই’র উন্নয়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান চেয়ারম্যানের

odhikarpatra | প্রকাশিত: ২২ January ২০২৫ ২১:৩৩

odhikarpatra
প্রকাশিত: ২২ January ২০২৫ ২১:৩৩

এসএমই খাতের উন্নয়নে সবাইকে কাঁধে কাঁধ রেখে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন এসএমই ফাউন্ডেশনের নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান।

আজ বুধবার ইআরএফের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘এসএমই নীতিমালা-২০২৫: সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ গণমাধ্যমের ভাবনা’ শীর্ষক কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।

ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও এসএমই ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করে।

ইআরএফ সভাপতি দৌলত আক্তার মালার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন ও ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকিন আহমেদ।

এতে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ফাউন্ডেশনের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক দূর এগিয়ে নেওয়া সম্ভব উল্লেখ করে বলেন, সামনে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) যুগ। চাকরির বাজারগুলো তারা দখল করে নিচ্ছে। এই এআই’র কারণে বাংলাদেশের গার্মেন্টখাতে ইতিমধ্যে ৩০ শতাংশ চাকরির সুযোগ কমেছে। এই অবস্থায় আগামীতে সেলফ ইমপ্লয়মেন্টের (নিজস্ব কর্মসংস্থান) সুযোগ বাড়বে। তখন জাতীয় অর্থনীতিতে এসএমই খাতের অবদান আরও বাড়বে। তাই এসএমই খাতের উদ্যোক্তাদের নীতিগত সহায়তা দিতে হবে। এজন্য তিনি একটি শক্তিশালী ডেটা ব্যাংক থাকার ওপর গুরুত্ব দেন। যার ওপর ভিত্তি করে এসএমইদের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা যায়।

এ ছাড়া এখাতে অধিক পরিমাণ নারী উদ্যোক্তাকে সম্পৃক্ত করতে ডে-কেয়ার সেন্টারের উপর গুরুত্ব দেন তিনি।

কর্মশালায় এসএমই ফাউন্ডেশনের এমডি বলেন, ছোট ছোট উদ্যোক্তাদের রক্ষা করতে না পারলে- কর্পোরেটরাও বেঁচে থাকবে না। তাই নতুন এসএমই নীতিমালায় এসএমইরা যাতে হারিয়ে না যায় সে উদ্যোগ থাকবে।

তাদেরকে কীভাবে সুরক্ষা দেয়া যায় তা নীতিমালাতে অন্তর্ভূক্ত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, বিশ্বে সিএমএসএমই খাতের ৭৫০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। সেখানে আমরা রপ্তানি করি মাত্র ১ বিলিয়ন ডলারের মতো। আগামীতে এই বাজার ধরতে এসএমই নীতিমালা-২০২৫ এ সিএমএসএমই থেকে ‘সিএমএস’ কে আলাদা করার পরামর্শ দেন।

এ ছাড়া সরকারের রাজস্ব বাড়াতে ভ্যাটের হার না বাড়িয়ে ডিরেক্ট ট্যাক্স আরোপ করার পরামর্শ দেন তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: