
ঢাকা | অধিকার পত্র ডটকম
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বর্তমানে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫) রাতে পরিবারের এক সদস্য গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন—
“ওনার শরীরটা ভালো না। উনি হাসপাতালে ভর্তি। ওনার জন্য দোয়া করবেন।”
শারীরিক অবস্থা
কয়েক বছর ধরে হুইলচেয়ারে চলাফেরা করছেন তোফায়েল আহমেদ। স্ট্রোকের কারণে তাঁর শরীরের একাংশ প্যারালাইজড হয়ে যায়। নিয়মিত চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকার পরও সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় এবং এখন লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক জীবন
- তোফায়েল আহমেদ নয়বার জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
- সর্বশেষ তিনি ভোলা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন।
- দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
- তিনি ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থা নিয়ে দেশজুড়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তাঁর পরিবার, সহকর্মী ও রাজনৈতিক অনুসারীরা দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা তোফায়েল আহমেদকে নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়েছে মৃত্যু গুজব। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তিনি সুস্থ আছেন। বিস্তারিত পড়ুন অধিকার পত্র ডটকমে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের মৃত্যু সংবাদ। বেশ কিছু ফেসবুক পেজ ও গ্রুপে দাবি করা হয়েছে, তিনি ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
তবে বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবার। কন্যা তাসলিমা আহমেদ মুনি এক সংবাদমাধ্যমকে বলেন—“আমার বাবা ভালো আছেন, সুস্থ আছেন।”
কোথায় থেকে ছড়ালো গুজব?
একটি ফেসবুক পেজে “তোফায়েল আহমেদ আর নেই” শিরোনামে পোস্ট দেওয়ার পরপরই গুজব ছড়িয়ে পড়ে। পোস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয় এবং শতাধিক বার শেয়ার করা হয়। পরবর্তীতে অন্যান্য গ্রুপ ও প্রোফাইল থেকেও একই খবর ছড়াতে থাকে।
- তোফায়েল আহমেদ ১৯৪৩ সালের ২২ অক্টোবর ভোলা জেলার করালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
- তিনি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
- ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
- বর্তমানে তাঁর মৃত্যুর খবর কোনো সরকারি ঘোষণা বা নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি।
কেন সচেতন হওয়া জরুরি?
বিশেষজ্ঞদের মতে, সামাজিক মাধ্যমে গুজব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কারণ মানুষ যাচাই না করেই শেয়ার করে। অথচ ভুয়া মৃত্যু সংবাদ পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের কষ্ট দেয়। তাই কোনো খবর শেয়ার করার আগে অবশ্যই নির্ভরযোগ্য সূত্র যাচাই করা জরুরি।
তোফায়েল আহমেদ লাইফ সাপোর্ট তোফায়েল আহমেদ খবর Awami League leader Tofail Ahmed আওয়ামী লীগের তোফায়েল সামাজিক মাধ্যমে গুজব তোফায়েল আহমেদ মৃত্যু গুজব তোফায়েল আহমেদ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: