
বরিশালে টাইফয়েড প্রতিরোধে ৬ লাখ ১ হাজার ৭১৬টি টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে এই টিকা দেওয়া হবে। ‘শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় জেলা পর্যায়ের স্কাউটস ও গার্লস গাইড স্বেচ্ছাসেবকদের জন্য টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক দিনব্যাপী অবহিতকরণ কর্মশালায় আজ এ তথ্য জানানো হয়।
বরিশালের সিভিল সার্জন ডা. এস এম মনজুর-এ-এলাহি বলেন, ‘আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে জেলায় ৬ লাখ ১ হাজার ৭১৬টি টাইফয়েডের টিকাদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪ লাখ টিকা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবং ২ লাখ টিকা কমিউনিটি পর্যায়ে প্রদান করা হবে।’
তিনি জানান, টাইফয়েড টিকা গ্রহণ করার জন্য ভ্যাকসিনেশন অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। এক্ষেত্রে টিকা পাওয়ার জন্য ১৭ ডিজিটের জন্ম নিবন্ধন নম্বর দিয়ে (াধীবঢ়র.মড়া.নফ) ওয়েবসাইটে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে এই টিকা দেয়া হবে।’ তিনি আজ বরিশাল সিভিল সার্জন কার্যালয়ে আয়োজিত অবহিতকরণ কর্মশালায় এসব কথা বলেন। বরিশাল জেলা তথ্য অফিসের উদ্যোগে ও ইউনিসেফ-বাংলাদেশের সহযোগিতায় এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
সিভিল সার্জন বলেন, গতবছর এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচিতে বরিশাল বিভাগ ৯৭ শতাংশ টিকা প্রদান করে সারাদেশে প্রথম হয়েছে। এবারও টাইফয়েড টিকাদানে বরিশালকে প্রথম করতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি সবাইকে গুজব থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, টাইফয়েড টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দ্বারা সুপারিশকৃত। যা নিরাপদ ও কার্যকর। টাইফয়েড টিকায় কোন ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। টিকা নেওয়ার পরে বমিবমি ভাব, টিকা গ্রহণের স্থানে লালচে রং ধারণ ও জ্বর হতে পারে। এটি কোন স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ নয়। তবে যেকোনো ধরনের অসুস্থতা, গর্ভবতী ও দুগ্ধদানকারী মা টাইফয়েড টিকা গ্রহণ করতে পারবেন না।
কর্মশালায় টাইফয়েড টিকা বিষয়ক উপস্থাপনা, টিকা সম্পর্কিত গুজব, বিগত টিকা সম্পর্কে ধারণা, টিকা রেজিষ্ট্রেশনের ভিডিও প্রদর্শন, ল্যাপটপের মাধ্যমে টাইফয়েড টিকা রেজিস্ট্রেশনের ব্যাবহারিক অনুশীলন বিষয়ে সেশন পরিচালনা করা হয়।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) সৈয়দ এ. মু’মেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং, ইউনিসেফ-বরিশালের প্রধান মো. আনোয়ার হোসাইন এবং জেলা তথ্য অফিসের সহকারী পরিচালক মো. শাকিলুজ্জামান। এসময় গার্লস গাইডের জেলা কমিশনার জেসমিন আকতার, স্কাউটসের জেলা সম্পাদক মোমিন হাওলাদার এবং স্কাউটস ও গার্লস গাইডের সদস্যবৃন্দ তাদের মতামত প্রদান করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: