
অধিকারপত্র ডেস্ক
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই উত্তেজনাপূর্ণ। সম্প্রতি, ক্রিকেটের মাঠও এই উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে, ২০২৫ সালের এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটি রাজনৈতিক উত্তেজনার নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
'অপারেশন সিন্ডুর': যুদ্ধের প্রতীক
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২৫ সালের ২৯ জুলাই জাতীয় সংসদে ভাষণ দেন, যেখানে তিনি 'অপারেশন সিন্ডুর' নামক সামরিক অভিযানের সাফল্য ঘোষণা করেন। এই অভিযানে ভারত পাকিস্তানে ছয়টি স্থানে মিসাইল হামলা চালায়, যার ফলে পাকিস্তান দাবি করে যে তাদের আটজন নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং ৩৫ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।
মোদি এই সামরিক অভিযানের পরবর্তী সময়ে ২০২৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানকে পরাজিত করার পর 'অপারেশন সিন্ডুর' এর সাফল্য ক্রিকেটের মাঠে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, "ক্রিকেটের মাঠে অপারেশন সিন্ডুর। ফলাফল একই - ভারত জিতেছে! আমাদের ক্রিকেটারদের অভিনন্দন।"
ক্রিকেটের মাঠে রাজনৈতিক উত্তেজনা
এশিয়া কাপের ফাইনালে ভারতীয় ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়রা পাকিস্তানি দলের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানান। ভারতীয় অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলেন, "আমরা পাকিস্তানকে একটি 'পারফেক্ট রিপ্লাই' দিয়েছি।" এই ঘটনা ক্রিকেটের মাঠকে রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহসিন নকভি, যিনি পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীও, ভারতীয় দলের এই আচরণকে সমালোচনা করেন এবং বলেন, "যদি যুদ্ধই আপনার গর্বের মাপকাঠি হয়, তাহলে ইতিহাস ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের কাছে আপনার পরাজয়ের কথা রেকর্ড করেছে। ক্রিকেট ম্যাচ কোনোভাবেই সেই সত্য পরিবর্তন করতে পারে না।
ক্রিকেট, যা কখনো ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি মাধ্যম ছিল, এখন তা রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রতীক হয়ে উঠেছে। এই পরিবর্তন আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে নতুন প্রশ্ন তুলেছে: খেলাধুলা কি শুধুমাত্র খেলা, নাকি এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য পূরণের একটি হাতিয়ার।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: