odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Tuesday, 21st October 2025, ২১st October ২০২৫

এডিস মশার ঘনত্বের উদ্বেগ: ডেঙ্গুর সম্ভাবনা ও প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি

odhikarpatra | প্রকাশিত: ৭ October ২০২৫ ০৯:৫১

odhikarpatra
প্রকাশিত: ৭ October ২০২৫ ০৯:৫১

 

দেশজুড়ে এডিস মশার ঘনত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা ডেঙ্গুর বিস্তারকে নতুন মাত্রায় ঠেলে দিচ্ছে। সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত ৪৯,৯০৭ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে, আর মৃত্যুর সংখ্যা ২১২। শুধু সেপ্টেম্বরেই আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১৫,৮৬৬ জন যা দেখাচ্ছে অক্টোবর মাসে সংক্রমণ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছানোর সম্ভাবনা ঘন।

রোগ কেন্দ্রীভূত হওয়া শহরগুলোর মধ্যে ঢাকা শীর্ষে রয়েছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে রোগীর সংখ্যা বেশি, তবে গাজীপুর, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেটসহ প্রায় সব বিভাগেই ডেঙ্গুর উপস্থিতি বাড়ছে।

এক সময় শহরকেন্দ্রিক রোগ হিসাবে পরিচিত এই মহামারি এখন গ্রামীণ এলাকায় ও ছড়িয়ে পড়েছে। এডিস মশার লার্ভা তৈরি হওয়ার উৎস যেমন  নির্মাণাধীন ভবন, ফুলের পাত্র, বোতল, ড্রাম, জমে থাকা পানি  এসব জায়গায় মশা দ্রুত পূর্ণবয়স্ক হয় এবং স্থানীয় সংক্রমণ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

ড. কবিরুল বাশার, কীটতত্ত্ববিদ ও জনস্বাস্থ্য বিশ্লেষক, প্রতিবেদনে বলেন, মশকনিধন কার্যক্রম অনেক ক্ষেত্রেই পরিকল্পিত নয় বা কার্যকরভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। জনসচেতনতার অভাব, স্থানীয় ও স্বাস্থ্য বিভাগের মধ্যে সমন্বয় বিঘ্নিত হওয়া এবং চিকিৎসা পরিষেবার সীমাবদ্ধতা  এসব মিলেই এই সংকটকে তীব্র করে তুলছে।

তিনি আরও বলেন, আগামী অক্টোবর মাস আমাদের জন্য এক চরম পরীক্ষার সময় হতে পারে। যদি এখনি ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই রোগীর সংখ্যা দ্বিগুণ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।


প্রস্তুতির ধাপ ও সুপারিশ

  • সমন্বিত মশকনিধন কার্যক্রম
    নগর ও উপজেলার পর্যায়ে বিজ্ঞানভিত্তিক সমন্বিত অভিযানের মাধ্যমে লার্ভা ও প্রাপ্তবয়স্ক মশা উভয়েই মোকাবিলা করতে হবে।

  • সরকারি স্বাস্থ্য অবকাঠামোর সুসংহত উন্নয়ন
    হাসপাতাল, ক্লিনিক ও উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত শয্যা, মানববল ও ওষুধstock নিশ্চিত করতে হবে।

  • জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার
    টেলিভিশন, রেডিও, সামাজিক মিডিয়া ও স্থানীয় প্রশাসন মিলিয়ে  ফুলের টব খালি রাখা, পানি নিষ্কাশন ইত্যাদি বিষয় প্রচার করা জরুরি।

  • গবেষণা ও প্রযুক্তি প্রয়োগ
    অটো-ডিসেমিনেশন ট্র্যাপ, জৈব নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, স্মার্ট কটন কণিকা ও গ্লাইডফ্লাই প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করা যেতে পারে।

  • স্থানীয় প্রশাসনের কড়া নজর
    নির্মাণাধীন এলাকা ও অপরিচ্ছন্ন জমিতে নিয়মিত তল্লাশি চালিয়ে পানি জমে থাকা ঠেকাতে হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: