
প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৫, রাত ০৯:০০
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে কটুক্তি ও কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, রাবি শাখা। রবিবার (১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় সংগঠনটির সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল স্মারকলিপি জমা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-রেক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানের কাছে।
ছাত্রশিবিরের স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, আরবি বিভাগের ২০২১–২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদের একটি ফেসবুক পোস্টের প্রতিউত্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ ব্যাচের শিক্ষার্থী দিপ্ত রয় ()
রাসুল (সা.)-কে উদ্দেশ্য করে অবমাননাকর ও ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্য করেন। ঘটনার পর ওই একই বা সংযুক্ত ব্যক্তিরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোরআন বিকৃত ও অবমাননাকর বার্তাও প্রচার করেছে বলে সংগঠনটির ধারণা, যা ধর্মপ্রাণ শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাধ্যমতো সাধারণ মানুষের মানসিকতায় গভীর আঘাত করেছে।
ছাত্রশিবির দাবি করেছে ঘটনাটি দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করা না হলে ক্যাম্পাসে ধর্মীয় সংবেদনশীলতা এবং শান্তি ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্মারকলিপিতে তারা চার দফায় দাবি তুলে ধরেছে —
ছাত্রশিবিরের চার দফা দাবি
১.:ঘটনার দ্রুত, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ তদন্ত কার্যকর করা।
২..দোষী প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ও আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ
৩. সংশ্লিষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া আইডেন্টিটি যাচাই ও প্রয়োজনে প্রযুক্তিগত তদন্ত চালানো।
৪.অতীতে সংঘটিত কোরআন পোড়ানোর ঘটনাসহ সংশ্লিষ্ট পূর্বঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও দোষীদের বিচারের আওতায় আনা।
শাখা সেক্রেটারি মুজাহিদ ফয়সাল সাংবাদিকদের জানান, “আমরা ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি। যারা রাসুল (সা.)-কে কটুক্তি করেছে তাদের বার্তা বিশ্লেষণে স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে যে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। আমরা গোয়েন্দা সংস্থা ও আইটি টিমের সহযোগিতা চাই যাতে দোষীদের শনাক্ত করে কঠোর শাস্তি দেওয়া যায়।”
উল্লেখ্য, স্মারকলিপিতে ছাত্রশিবির প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন যে—যদি ক্যাম্পাসে এমন অশোভন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়, তবেই দীর্ঘমেয়াদে ধর্মীয় সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: