odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫
হিথ স্ট্রিক বলেন আমাকে বর্ণবাদী বলাটা ভুল ও হাস্যকর

স্ট্রিক শ্বেতাঙ্গ হওয়ায় দলের কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দের সাথে বর্ণবাদী আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মুকুহলানি।

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১০ April ২০১৮ ১৭:৪৮

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১০ April ২০১৮ ১৭:৪৮

 

২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হওয়ায় পুরো কোচিং স্টাফকেই বরখাস্ত করেছে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট (জেডসি)। কেবল বরখাস্ত করেই ক্ষান্ত হয়নি জেসি। প্রধান কোচ হিথ স্ট্রিকের বিরুদ্ধে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ এনেছেন জেডসির চেয়ারম্যান তেভেঙ্গা মুকুহলানি। স্ট্রিক শ্বেতাঙ্গ হওয়ায় দলের কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দের সাথে বর্ণবাদী আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন মুকুহলানি।
স্ট্রিকের বিপক্ষে বর্ণবাদীর অভিযোগ এনে ডেইলি নিউজকে মুকুহলানি বলেন, ‘স্ট্রিক একই সাথে কোচ ও নির্বাচক ছিলেন। তার পছন্দমতো দল সাজাতে পারতেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যেভাবে তিনি দল সাজিয়েছিলেন, সেটা কি সঠিক ছিল? বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে পিটার মুরের মতো সাদা চামড়ার খেলোয়াড় খেলতে নামলেন, কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গ খেলোয়াড়দের কেউ সেটা জানতোই না। অনুশীলনের সময় চেফাস ঝুয়াওকে জানালো হলো সে খেলছে না। কেন সেটা পুরো দলকে জানালেন না স্ট্রিক?’
তবে জেডসি চেয়ারম্যানের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্ট্রিক। এমন অভিযোগকে বোর্ড চেয়ারম্যানের বিশেষ পরিকল্পনা হিসেবেই দেখছেন তিনি, ‘আমার ঘনিষ্টরা সবাই জানে আমি বর্ণবাদের ছায়াতলে কখনই ছিলাম না।’
তিনি বলেন, ‘আমাকে জেডসি চেয়ারম্যান বর্ণবাদী বলেছে। আমার কাছে এটা ভুল ও হাস্যকর মনে হয়েছে। যারা আমাকে চেনেন ও জানেন তাদের জন্যও এর জবাব দেয়ার কোন দরকার নেই। আমি শুধুমাত্র কয়েকটি ব্যাপার সবার সামনে তুলে ধরতে চাই। হা’হল- আমাদের নির্বাচক কমিটিতে আমি ছাড়াও তাতেন্দা তাইবু ও ডগলাস হোন্ডো ছিলেন। সকলে আলোচনা করেই দল নির্বাচন করতাম।’
স্ট্রিক আরও বলেন, ‘গ্রায়েম ক্রেমার নির্বাচক ছিলেন না। কিন্তু আমাদের পরামর্শ দিতো সে এবং আমরা বাকিদের সাথেও কথা বলতাম। এমনকি ওই সময় বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচদেরও পরামর্শ নিতাম। দিতো। বিশ্বকাপ বাছাই নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে, আমি সাদা খেলোয়াড়দের জন্য কৃষ্ণ খেলোয়াড়দের যখন বাদ দিয়েছি, এটি পুরোই হাস্যকর। আমি যখন টেন্ডাই চিসোরোর জায়গায় কাইল জার্ভিসকে বাদ দেই তখন কোন কথা হয় না। কিন্তু যখন মুরের জায়গায় সেফাস জুয়াওকে দল থেকে বাদ দেই তখন আমি বর্ণবাদী হয়ে যাই।’
স্ট্রিক আরও যোগ করে বলেন, ‘যারা আমার আশেপাশে আছে এবং যারা আমাকে চেনে এবং খেলোয়াড়দের জন্য যা নিশ্চয়তা দেয়া যায় তাই আমার জন্য সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেন যে এসব মানুষ চেয়ারম্যানের অভিযোগে আমাকে বর্ণবাদী বলে, কেন তারা জনসাধারণের সামনে বেরিয়ে আসে না এবং তাদেরকে বলে না? দেখা যাক কি হয়।
এটি শুধুমাত্র হিথ স্ট্রিক বা তাতেন্দা তাইবুকে সরিয়ে দেয়া নয়, এটি অনেক বড় ব্যাপার। আপনি পুরো বিষয়টি লক্ষ্য করলে দেখবেন যারা এক সময় জিম্বাবুয়ের হয়ে খেলেছেন এবং আমরা এক দশক জিম্বাবুয়ে দলের কোচের দায়িত্ব পালন করেছি তাদের সবাইকেই সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
মুকুহলানির জবাব দেয়ার পাশাপাশি বোর্ডের বিপক্ষে অভিযোগও এনেছেন স্ট্রিক। তিনি জানান, ‘এখন পর্যন্ত বেতনের ৪০ শতাংশ পরিশোধ করা হয়েছে। এরমধ্যে আমি ও ব্যাটিং কোচ ল্যান্সন্স ক্লুজনারও রয়েছে। বোর্ড এখনো ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দেয়নি।’



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: