odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

অধিনায়কের অগাধ আস্থা সতীর্থের ওপর

Admin 1 | প্রকাশিত: ৪ April ২০১৭ ১০:০৬

Admin 1
প্রকাশিত: ৪ April ২০১৭ ১০:০৬

শ্রীলঙ্কার তো অনেক ক্রিকেটার আছেন যারা একাই ম্যাচের ভাগ্য ঠিক করে দিতে পারেন, বাংলাদেশের তেমন কেউ নেই? অনেক আছে, এক তামিম খেলতে পারলেই, উত্তর মাশরাফি বিন মুর্তজার। অধিনায়কের অগাধ আস্থা সতীর্থের ওপর।

মঙ্গলবার আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খেলবে বাংলাদেশ। তার আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক বলছিলেন তার দলের সামর্থ্য-সম্ভাবনা নিয়ে।

“টি-টোয়েন্টিতে টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের বড় ভূমিকা থাকে। তামিম যদি খেলে লম্বা সময় ধরে ক্রিজে থাকে, ওর খেলাটা খেলে তাহলে অন্যদের জন্য কাজটা সহজ হয়ে যায়।”

শ্রীলঙ্কার উপুল থারাঙ্গা, লাসিথ মালিঙ্গা, নুয়ান কুলাসেকারা, থিসারা পেরেরা, আসেলা গুনারত্নের মতো ক্রিকেটার আছে যারা নিজেদের দিকে ম্যাচ নিয়ে যেতে পারেন।

বাংলাদেশ দলেও আছেন তেমন কয়েক জন, অধিনায়কের বিশ্বাস তারা জ্বলে উঠলে জয় নিয়েই ফেরা যাবে দেশে। 

“আমাদের প্রভাব বিস্তার করার মতো খেলোয়াড় অনেক আছে। শুধু তাদের কিছুক্ষণ টিকতে হবে, সাব্বির রহমান, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসানের তো অবশ্যই। মুস্তাফিজুর রহমান আছে, মাহমুদউল্লাহ, ‍মুশফিকুর রহিম আছে, কয়েকটা ম্যাচে সে একা হাতে জিতিয়েছে।”

টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানদের হয়তো কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের টি-টোয়েন্টিতে প্রতিনিয়ত যেতে হচ্ছে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে।

মুশফিক বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান- এনিয়ে কারোর মনেই সংশয় নেই। এক হাতে দলকে কিছু ম্যাচে দলকে জেতানো এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসমানকে কি না গত বছর টি-টোয়েন্টিতে খেলতে হয়েছে ৫ থেকে ৮ এই চারটি পজিশনে।

মুশফিক আট নম্বরে ব্যাট করছেন, এটাই চোখ কপালে তোলার জন্য যথেষ্ট। সেখানে খেলে তিনি কি ভূমিকা রাখবেন সেটা টিম ম্যানেজমেন্টই ভালো বলতে পারবে।

তিন নম্বরে খেলতে পছন্দ করেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিব। সেই জায়গায় প্রথম পছন্দ এখন সাব্বির, কিছু ম্যাচ মিডল অর্ডারে খেলে এখন থিতু হয়েছেন সেখানে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বেশিরভাগ সময় খেলেন চারে, তবে গত বছর পাঁচ-ছয় নম্বরেও নেমেছেন তিনি।

তিন ধরনের ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি পজিশন সম্ভবত বদলাতে হয়েছে মাহমুদউল্লাহর। গত দুই বছরে চার থেকে সাতে ব্যাটিং করেছেন তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে ফিনিশারের ভূমিকা পেয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

একমাত্র তামিম ইকবালেরই কখনও পজিশন বদলানো হয়নি, বরাবরই খেলছেন উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে। ইমরুল কায়েস দুটি ম্যাচ খেলেছেন মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান হিসেবে, সৌম্য সরকার চারটি।

দলের ম্যানেজার ও সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টিতেই কেবল পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্ভব। এই সংস্করণে অনেক পরীক্ষার ফল হল এখনও র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০ নম্বরে থাকা।

প্রভাব ফেলার মতো ক্রিকেটার অনেক আছে বাংলাদেশের। কিন্তু এই সংস্করণে তারা যদি নিজেদের সঠিক জায়গাই এখনও খুঁজে না পান তাহলে প্রভাবটা ফেলবেন কি করে?

 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: