odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫
৬ ছাত্রীকে পি’টিয়ে হাস’পাতালে

শিক্ষক এর বিরুদ্ধে অ’ভিযোগ করায় ৬ ছাত্রীকে পি’টিয়ে হাস’পাতালে পাঠালেন

odhikar patra | প্রকাশিত: ১০ August ২০১৯ ১১:৫১

odhikar patra
প্রকাশিত: ১০ August ২০১৯ ১১:৫১

 

শেরপুরের শ্রীবরদীতে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ছয় শিক্ষার্থী আ’হত হওয়ার অ’ভিযোগ উঠেছে। তার মধ্যে তিন শিক্ষার্থী গুরুতর আ’হত অবস্থায় শ্রীবরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। আর বাকি তিন জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছে।

গত ৬ আগস্ট মঙ্গলবার বিকেলে শ্রীবরদী এমএনবিপি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অ’ভিযুক্ত শিক্ষক নূর ইস’লামকে আ’ট’ক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, সম্প্রতি এমএনবিপি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওই শিক্ষক পাঠদানের সময় অ'শালীন কথা বলেন। সেই সঙ্গে সঠিকভাবে পাঠদান না দিয়ে গল্প করেন। এ বি'ষয় নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিকভাবে অ’ভিযোগ দেয়।
এই ঘটনার পর মঙ্গলবার নূর ইস’লাম ক্লাস চলাকালীন সময়ে ক্ষি'প্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর বেত্রাঘাত করেন। এতে তিন জন গুরুতর আ’হত হয়ে শ্রেণি কক্ষে অ’জ্ঞান হয়ে পড়ে। এ সময় অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাদের শ্রীবরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করে।
এদিকে হাস'পাতালে ভর্তিকৃতরা হলো, ওই বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ও খামা’রিয়া পাড়া মহল্লার রুকুনুজ্জামান ওরফে শিপনের মেয়ে রওনকজাহান বুশরা, একই মহল্লার খোকন চৌধুরীর মেয়ে শাউলিয়া জাহান শূর্মি ও সাতানী শ্রীবরদী মহল্লার আ. করিমের মেয়ে সোহানা ইস’লাম স্মৃ’তি। এদিকে কৌশলে শিক্ষক নূর ইস’লাম স্কুল থেকে পালিয়ে গেলেও অ’ভিভাবকদের চাপের মুখে সন্ধ্যা ৬ টার দিকে নূর ইস’লামকে আ’ট’ক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী শিমা আক্তার জানায়, ‘ওই শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের সময় আমাদের সঙ্গে অ'শালীন কথা-বার্তা বলেন এবং সঠিকভাবে পাঠদান না দিয়ে গল্প করেন। এ বি'ষয় নিয়ে আম’রা প্রধান শিক্ষকের নিকট বিচার দেওয়ায় নূর ইস’লাম স্যার ক্ষি'প্ত হয়ে আমাদেরকে মা’রপিট করেন।’
এ বি'ষয়ে শ্রীবরদী এমএনবিপি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘একদিন পূর্বে শিক্ষার্থীরা আমা’র নিকট মৌখিকভাবে বিচার দিয়েছিল। আমি তাদেরকে লিখিত অ’ভিযোগ দেওয়ার জন্য বলি।’
এদিকে অ’ভিযুক্ত শিক্ষক নূর ইস’লাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘ক্লাসে পড়া না পারার কারণে স্কেল দিয়ে দুইবার করে মে’রেছি।’ তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অ'শালীন ভাষায় কথা বলার বি'ষয়টি অস্বীকার করেন।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মক’র্তা (ওসি) মোহাম্ম’দ রুহুল আমিন তালুকদার বলেন, ‘অ’ভিযুক্ত শিক্ষককে আ’ট’ক করে থানায় আনা হয়েছে। অ’ভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: