odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি হওয়ার জন্য স্নাতক বা ডিগ্রী পাস হতে হবে। .

odhikar patra | প্রকাশিত: ২৭ August ২০১৯ ২৩:৪৭

odhikar patra
প্রকাশিত: ২৭ August ২০১৯ ২৩:৪৭

 

 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ হচ্ছে। বিদ্যালয়ের সভাপতি হওয়ার জন্য স্নাতক বা ডিগ্রী পাস হতে হবে। মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে এমন নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে। প্রস্তাব পাওয়ার পর এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এফ এম মঞ্জুর কাদির জানান, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতিরা বিদ্যালয় পরিচালনায় যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে থাকেন।

প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় তাদের অনেক সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ বাস্তবায়ন গ্রহণ করা হয়। যদি সভাপতি অযোগ্য হয় তবে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়ে থাকে। তাই বিদ্যালয়ে শিক্ষার মান বাড়াতে পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্ধারণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভাপতি হতে হলে স্নাতক বা ডিগ্রি পাস হতে হবে।

তিনি বলেন, এ বিষয়টি কার্যকর করতে মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাবনা তৈরি করে পাঠাতে বলা হয়েছে। এটি কার্যকর করতে মন্ত্রণালয়ে সভা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫৯০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে ১১ সদস্যবিশিষ্ট পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়ে থাকে।

তাদের মধ্যে প্রধান শিক্ষক সদস্যসচিব, একজন শিক্ষক প্রতিনিধি, নিকটবর্তী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক প্রতিনিধি, জমিদাতার একজন প্রতিনিধি, কাউন্সিলর বা ইউপি সদস্য, শিক্ষানুরাগী দুইজন, অভিভাবক প্রতিনিধি চারজনসহ মোট ১১ জন সদস্য নির্বাচন করা হয়। তাদের মধ্যে একজনকে সভাপতি ও একজনকে সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচন করা হয়।

অনেক বিদ্যালয়ে কমিটির সভাপতি হিসেবে নিরক্ষর ব্যক্তিকে নির্বাচন করায় প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা ও শিক্ষার মান বাড়াতে কোনো ধরনের সহায়তা ও দিক-নির্দেশনা দিতে পারেন না, বরং বিদ্যালয়ের উন্নয়নসহ বিভিন্ন অর্থ হাতিয়ে নিতে ব্যস্ত থাকেন।

অনেক সময় শিক্ষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে থাকেন। সভাপতিরা স্থানীয় ব্যক্তি ও ক্ষমতাবান হওয়ায় নানা ধরনর অনিয়ম করলেও শিক্ষকরা ভয়ে তাদের বাধা দেন না। এ-সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ মন্ত্রণালয়ে আসায় যোগ্য ব্যক্তিদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি নির্বাচন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়

 

টিবিটি



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: