odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Sunday, 16th November 2025, ১৬th November ২০২৫
ব্রেক্সিট

প্রতিবাদের মুখে বরিস জনসন সংসদ স্থগিত করে

odhikar patra | প্রকাশিত: ৩০ August ২০১৯ ০৭:৪৭

odhikar patra
প্রকাশিত: ৩০ August ২০১৯ ০৭:৪৭

 

সংসদ স্থগিত করার প্রতিবাদে লন্ডনে বিক্ষোভ, ২৮-০৮-২০১৯।সংসদ স্থগিত করার প্রতিবাদে ব্রিটেনে দিন-রাত বিক্ষোভ চলছে।

ব্রিটেনে বিরোধী দলীয় এমপিরা এবং ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির কিছু সদস্য বলেছেন তারা সরকারের সংসদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত বদল করার জন্য একসঙ্গে কাজ করবেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাবার নির্ধারিত তারিখ ৩১শে অক্টোবরের আগে ৫ সপ্তাহের জন্য সংসদ স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। তবে সরকারের মন্ত্রীরা এখনও বলছেন সংসদ স্থগিত করার অর্থ সংসদের মুখ বন্ধ করা নয়।

ব্রিটেশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেছেন এটা কোন বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত নয়, এটা আইনের শাসনেরই অংশ। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির জন ম্যাকডোনেল সরকারের এই পদক্ষেপকে একটি 'ব্রিটিশ অভ্যুত্থান' বলে আখ্যায়িত করেছেন।

লেবার পার্টির ছায়া অর্থমন্ত্রী জন ম্যাকডোনাল হুঁশিয়ারি দিয়েছেন যে তার দল প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে স্বৈরশাসকের ভূমিকা পালন করতে দেবে না।

 

.

তিনি বলেছেন এই স্থগিতাদেশ বাতিল করার জন্য তার দল লেবার পার্টি প্রয়োজনীয় যত পদক্ষেপ আছে সবকিছু ব্যবহার করবে। তারা ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড এবং উত্তর আর্য়াল্যান্ডের সবরকম আইনি পথ ব্যবহার করে এই পদক্ষেপকে চ্যালেঞ্জ জানাবে।

মি. ম্যাকডোনেল বলেছেন তিনি বিশ্বাস করেন যে, প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন 'নো-ডিল ব্রেক্সিটে'র বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের ভোট দেয়া ঠেকানোর চেষ্টা করছেন।

কনজারভেটিভ দলের দুজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন যাদের মধ্যে রয়েছেন স্কটল্যাণ্ডে কনজারভেটিভ পার্টির নেতা রুথ ডেভিডসন।

ব্রেক্সিট বিরোধী প্রচারণা চালিয়ে ব্রিটেনে পরিচিত ব্যক্তিত্ব জিনা মিলার মি: জনসনের সিদ্ধান্তের আইনি পর্যালোচনার জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছেন।

লেবার পার্টি একটি জরুরি বৈঠক আহ্বান জানানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে। সরকারি এই সিদ্ধান্তের সমালোচকরা বলছেন, ব্রিটিশ এমপিরা যাতে ব্রেক্সিট নিয়ে কিছু বলতে না পারে তা রোধ করতেই এই সময়টাকে ইচ্ছাকৃতভাবে বেছে নিয়েছে সরকার।

BBC 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: