odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Sunday, 16th November 2025, ১৬th November ২০২৫

রাশিয়ার উদ্বেগ: ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর উত্তেজনা

odhikar patra | প্রকাশিত: ১৮ September ২০১৯ ০৩:২৪

odhikar patra
প্রকাশিত: ১৮ September ২০১৯ ০৩:২৪

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর উত্তেজনা: রাশিয়ার উদ্বেগ

যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে তেল-ক্ষেত্রে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখা যাচ্ছে তেল-ক্ষেত্রে কী ধরনের ক্ষতি হয়েছে।

সৌদি তেল ক্ষেত্রে শনিবারের হামলায় ঘটনায় তেহরানকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধ শুরুর হুমকি দিলেও ইরান বলছে, এতে তারা মোটেও আতঙ্কিত নয়।

ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি বরঞ্চ বলেছেন, তার দেশ কোনো মীমাংসাই করবে না যতক্ষণ পর্যন্ত ওয়াশিংটন পারমাণবিক চুক্তি বাতিলের সিদ্ধান্ত না বদলায়।

তবে উপসাগরে যুদ্ধ শুরুর সম্ভাবনা নিয়ে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ শুরু হয়েছে। অস্থিরতা দেখা দিয়েছে জ্বালানি তেলের বাজারে।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা মোটামুটি নিশ্চিত শনিবার ভোরে সৌদি আরবের দুটো প্রধান তেল ক্ষেত্রে ড্রোন হামলার পেছনে সরাসরি ইরানের হাত ছিল।

প্রমাণের জন্য তারা বিভিন্ন স্যাটেলাইট চিত্র এবং অন্যান্য গোয়েন্দা তথ্য প্রকাশ করেছে।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুমকি দিয়েছেন, ইরানের সংশ্লিষ্টতার পুরোপুরি প্রমাণ পেলে যুদ্ধ শুরু করতেও তিনি পিছপা হবেন না।

স্বভাবসুলভ হুমকির সুরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, যুদ্ধের যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এতটাই প্রস্তুত যার নজির বিশ্বের ইতিহাসে নেই। তিনি বলেন যে হামলা হয়েছে তা অনেক বড় কিন্তু তার কয়েকগুণ জোরালো জবাব দেওয়ার ক্ষমতা যুক্তরাষ্ট্রের রয়েছে।

তবে, তিনি বলেন, এই হামলার পেছনে কে ছিল - সেটাই এখন তিনি পুরোপুরি নিশ্চিত হতে চাইছেন। তারপরই জবাব দেওয়া হবে।

 

হামলার পর আবার তেল উত্তোলন শুরু করে সৌদি আরব।হামলার পর আবার তেল উত্তোলন শুরু করে সৌদি আরব।

যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর হুমকি নিয়ে শুরু হয়েছে গভীর উদ্বেগ। রাশিয়া হুঁশিয়ার করেছে, কোনোভাবেই যাতে উপসাগরে আরেকটি যুদ্ধ না বাঁধানো হয়।

জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভাসিলি নেবেনযিয়া বলেছেন, এ ধরনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উপসাগরে বৃহত্তর কোনো সংঘাত শুরু হওয়ার সম্ভাবনা নিয়ে রাশিয়া খুবই উদ্বিগ্ন।

তিনি বলেন, উপসাগরীয় অঞ্চল এবং আশপাশে এমনিতেই অনেক সমস্যা। সুতরাং নতুন একটি সমস্যা ঐ অঞ্চলে সর্বনাশ ডেকে আনবে। রাশিয়া চায় যে কোনো মূল্যেই যেন যুদ্ধ এড়ানো যায়।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধের হুমকি নিয়ে ইরান যে শঙ্কিত তার কোনো লক্ষণ এখনও নেই।

ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতোল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি সিদ্ধান্ত বদলায়, চুক্তি থেকে সরে যাওয়া নিয়ে অনুশোচনা করে চুক্তিতে আবারো ফিরে আসে, তাহলেই শুধু ইরানের সাথে তারা মীমাংসা করতে পারবে। তা না করলে, কোনো পর্যায়ে, কোথাও কোন কথাবার্তাই হবে না।

সৌদি আরবের দুটো প্রধান তেল ক্ষেত্রে উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় বিশ্ববাজারে তেলের সরবরাহ অন্তত পাঁচ শতাংশ কমে গেছে।

সরবরাহে ঘাটতি এবং যুদ্ধ শুরুর আশঙ্কায় তেলের দামও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করেছে।

সোমবার অপরিশোধিত তেলের বাজারে দাম একদিনে ১৫ শতাংশ বেড়ে যায়। দাম বৃদ্ধির এত দ্রুত হার গত ৩০ বছরে দেখা যায়নি

BBC 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: