odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

ক্রিকেট ‘মেড ফর চায়না’ নয়

Admin 1 | প্রকাশিত: ২৪ April ২০১৭ ০২:৩২

Admin 1
প্রকাশিত: ২৪ April ২০১৭ ০২:৩২

চীন অলিম্পিকের পদক লড়াইয়ের অন্যতম শীর্ষ দেশ হতে পারে, ফুটবলে এশিয়ান কাপে নিয়মিত অংশ নিতে পারে, বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বেও জায়গা করে নিতে পারে; কিন্তু ক্রিকেটে এখনো নিতান্তই ‘দুগ্ধপোষ্য শিশু’! সেটি প্রমাণ হয়ে গেল গতকাল শনিবার। সৌদি আরবের কাছে চীন হেরেছে ৩৯০ রানে। চীনের ক্রিকেট নিয়ে তবু খবর পাওয়া যায়, সৌদি আরবের তো সেভাবে নামগন্ধই মেলে না। সেই তারা প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৪১৮ রান তুলে চীনকে অলআউট করে দিল মাত্র ২৮ রানে!

থাইল্যান্ডে চলছে আইসিসি ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের এশিয়া অঞ্চলের বাছাইপর্ব। সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, বাহরাইন, ভুটান, থাইল্যান্ড ও চীনকে নিয়ে আয়োজিত এই বাছাইপর্বের শীর্ষ দেশ সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড ক্রিকেট লিগের ডিভিশন ৫-এ খেলার সুযোগ পাবে। প্রতিযোগিতার শুরু দিনই চিয়াংমাই জিমখানা মাঠে চীনের ভাগ্য-বিপর্যয় ঘটল। প্রতিযোগিতার খেলাগুলো লিস্ট ‘এ’–র মর্যাদা পাচ্ছে।
বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশটিতে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারে আইসিসির বিশেষ উৎসাহ আছে। এ ব্যাপারে চীনকে নানাভাবে সাহায্যও করা হচ্ছে। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলও চীনে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য কাজ করেছে। কিন্তু তাতে লাভ কতটা হয়েছে, সেই প্রশ্ন এখন উঠছে। আজও যেমন চীনের বিপক্ষে কুয়েত ৪৬০ রানের বিশাল রানের পাহাড় গড়েছে। চীন মাত্রই ব্যাট করতে নেমেছে। আজও আরেক বিপর্যয় অপেক্ষা করছে কি না তাদের জন্য, কে জানে!
অন্তত আগের ম্যাচ সেই ভয় তো দেখাচ্ছেই। কাল টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে চীন যে অলআউট হয়েছিল ১২.৪ ওভারে। সে ম্যাচে ঝেং পেং-এর ব্যাট থেকে আসে ৬ রান। ইনিংসে সর্বোচ্চ রান ‘মিস্টার এক্সট্রা’র—১৩।
ক্রিকেট দুনিয়ায় ক্রিকেটের পদচারণা খুব বেশি দিনের নয়। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বছর কয়েক আগে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের কোচ হিসেবে সেখানকার ক্রিকেটারদের হাতেখড়ির কাজ করেছেন। ২০১০ সালে চীনের গুয়াংজুতে অনুষ্ঠিত এশিয়ান গেমসের ক্রিকেট ইভেন্ট দারুণ সাফল্যের সঙ্গে আয়োজিত হয়েছিল। এশিয়ান গেমসের ক্রিকেটই ছিল চীনের মাটিতে আয়োজিত প্রথম বড় কোনো ক্রিকেট প্রতিযোগিতা।
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ক্রিকেটে উৎসাহিত করে তোলার উদ্যোগ থাকলেও চীনে ক্রিকেট এখনো তেমন জনপ্রিয়তা অর্জন করেনি। খুব ধীরলয়েই সেখানে এগোচ্ছে খেলাটা। চীন অবশ্য একটি বিষয়ে বেশ বাহবা পাওয়ার দাবিদার। আইসিসির অনেক উঠতি দেশে ভারত-পাকিস্তানে জন্ম নেওয়া ক্রিকেটারদের খেলতে দেখা যায়। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সাফল্যের নেপথ্যে মূলত এই ক্রিকেটাররাই থাকেন। কিন্তু চীনের সব খেলোয়াড়ই তাদের দেশের। এ ব্যাপারে চীন কোনো ছাড় দিতে রাজি নয়।
ক্রিকেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষার সঙ্গে জড়িয়ে আছে চীনের নাম। চায়নাম্যান বোলার। যদিও ক্রিকেটটা ঠিক মেড ফর চায়না নয়! সূত্র: আইসিসি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: