odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

চা বাগানের ঝরেপড়া শিক্ষার্থীদের জন্য মনোবল পাঠশালা

odhikar patra | প্রকাশিত: ২৪ November ২০১৯ ০২:৫০

odhikar patra
প্রকাশিত: ২৪ November ২০১৯ ০২:৫০

স্থানীয় ব্যতিক্রম চা ছাত্র যুব সংগঠনের উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে ‘মনোবল পাঠশালা’ নামে একটি বিদ্যালয়। জেলার চুনারুঘাট উপজেলার লালচান্দ চা বাগানের চিনাইবিল ডিভিশনে সরকারী স্কুল নেই। এ স্কুলে লেখাপড়া করে আলোকিত হচ্ছে চা বাগানের সুবিধাবঞ্চিত, ঝড়েপড়া চা শ্রমিক সন্তানরা।
ব্যতিক্রম চা ছাত্র যুব সংগঠনের সভাপতি রনি গোয়ালা বলেন, লালচান্দ চা বাগান চিনাইবিল ডিভিশনে প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। তাই প্রাথমিক শিক্ষালাভের জন্য অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয় কোমলমতি চা শ্রমিক সন্তানদের। যদিও গত কয়েক বছর ধরে ব্র্যাক স্কুল চালু হয়। এ স্কুলে চা শ্রমিক সন্তান প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করতে পেরেছে। বর্তমানে ব্র্যাক প্রাথমিক শিক্ষা বন্ধ করে দেওয়ায় বাহিরে গিয়ে অনেক শিক্ষার্থীর পড়ালেখা করা সম্ভব হচ্ছে না। প্রায় ২৭ জন কোমলমতি শিক্ষার্থী ঝড়েপড়ে যায়। এমতাবস্থায় ব্যতিক্রমে চা ছাত্র যুব সংগঠনের সভাপতি হিসাবে আমি উদ্যোগ গ্রহণ করি স্কুল প্রতিষ্ঠার জন্য।
ঝড়েপড়া চা শ্রমিক কোমলমতি সন্তানদের শিক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য, ‘ঝড়েপড়তে দেবোনা গড়ে তুলবো আমরা’ এ স্লেøাগানকে সামনে নিয়ে চলতি বছরের ৩ মার্চ চালু করা হয় ‘মনোবল পাঠশালা’।
চিনাইবিলের দূর্গামন্দিরের গ্রীনঘরে এ পাঠশালায় ২৭ জন শিক্ষার্থী ২য় শ্রেণীতে লেখাপড়া করছে। শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ব্যতিক্রমের সদস্য শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের বিএ ফাইনাল বর্ষের অধ্যয়নরত দিপালী গোয়ালাকে। সংগঠনের পক্ষ থেকে তাকে মাসে ১২শ টাকা সম্মানী দেওয়া হচ্ছে।
শিক্ষিকা দিপালী গোয়ালা বলেন, ঝড়েপড়া রোধ করে শিক্ষার আলো বিস্তার করার জন্য গড়ে তোলা হয়েছে মনোবল পাঠশালা। এখানে শিশুরা লেখাপড়া করছে। আর তাদেরদের মাঝে শিক্ষার আলোয় আলোকিত করা চেষ্টা করছি।
জয় সাঁওতাল, পরাধীন সাঁওতাল, সৌরভ রায়, নিশান বাকতি বলেন, এ স্কুলে বিনা বেতনে লেখাপড়া করতে পারছি। এতে আমরা আনন্দিত। আমরা সুশিক্ষা গ্রহণ করে এগিয়ে যেতে যাই।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: