-2020-06-25-14-02-25.jpg)
শ্রীনগর সরকারি কলেজ চত্বর পানকৌড়ি পাখিদের কলরবে মূখরিত
মোঃ অমিত খাঁন, শ্রীনগর (মুন্সিগঞ্জ ) প্রতিনিধিঃ শ্রীনগর সরকারি কলেজ এখন পাখিদের লীলাভূমিতে পরিনত হয়েছে।কলেজের সবুজ অরন্যে বাসা বেঁধেছে প্রায় তিন হাজার পানকৌড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি। আর এসব পাখি কলেজের বিভিন্ন গাছ পালায় বাসা বেঁধেছে। সারাদিনই থাকে পানকৌড়ি সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আনাগোনা । শ্রীনগর কলেজটির অবস্থান আড়িয়াল বিলের খুব কাছাকাছি হওয়ায় ও ছোট ছোট মাছ থাকায় পানকৌড়িদের বিচরণ দেখা যায়। আর সন্ধ্যার কিছু আগ থেকে বিল থেকে নীড়ে ফিরতে থাকে পানকৌড়ির দল ঝাঁক বেঁধে। বিকেল থেকেই পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে ওঠে কলেজ চত্বরের সবুজ অরন্য। এই মনোমুগ্ধকর মনোরম দৃশ্য দেখার জন্য থমকে দাঁড়ায় কিছু সময় কোন না কোন পথের পথিক।
পানকৌড়ি মূলত জলের পাখি তাদের বিচরণ হাওর,খাল,বিল,পুকুরেই ভেসে থাকতে দেখা যায়। খুব নিরহ প্রজাতির পাখি। পানকৌড়ি দেখতে কিছুটা কাকের মত কালছে বর্ণের তাই এ অঞ্ঝলের মানুষের কাছে এ পাখিটি পানি কাউ নামে খুব পরিচিত।
শ্রীনগর কলেজের প্রভাষক মাজাহারুল ইসলাম বলেন প্রতিদিন ৫-৬ বার ১০-২০জন শিকারিকে ফেরত পাঠাতে হয়। শিকার করতে আসা শিকারিকে ফেরত পাঠানো খুব কঠিন কাজ, বড় শিকারিদের চেয়ে শিশু শিকারিরা এক্ষেত্রে বেশি ভয়ংকর। তাদের নিয়ে পশুপাখি রক্ষনাবেক্ষন সম্পর্কে কাউন্সিলিং করি খুব মনোযোগ দিয়ে কথাগুলো শোনে, এখন এলাকাবাসীর মধ্যে কিছুটা হলেও সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তারাও এখন পাখি নিধন বন্ধে কলেজ চত্বরে সচেতনতা মূলক ব্যানার টানিয়ে এ লক্ষে কাজ করছে ।
মানুষ ছাড়া বন বাঁচে কিন্তু বন ছাড়া মানুষ বাঁচেনা। আর এসব বর্ন্য প্রানী ও পশু পাখিই আমাদের সম্পদ।আমাদের প্রয়োজনেই দেশের এসব প্রানী সম্পদ বাঁচিয়ে রাখতে হবে ।
মোঃ অমিত খাঁন
শ্রীনগর,মুন্সিগঞ্জ
২২-০৫-২০২০ইং
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: