
নিজস্ব প্রতিবেদক
শ্বশুর -শাশুড়ির সেবা করা ছেলের বউদের নিয়মিত দায়িত্ব। আর সেই দায়িত্ব পালন করেই যদি মেলে তাৎক্ষণিক পুরস্কার তাহলে তো কথাই নেই!
অবিশ্বাস্য হলেও এমন ব্যাতিক্রমী পুরুস্কার মিলছে টাঙ্গাইলে। মানবিক গুণাবলী গৃহবধূদের কাছে পৌছে যাচ্ছে টাঙ্গাইলের শাড়ি, চম চম, সন্মাননা স্বারক ও ফুলের তোরা। এর সবই দিচ্ছে টাঙ্গাইলের সদর থানার পুলিশ ইনচার্জ মোশারফ হোসেন।
পুলিশ কর্মকর্তার এমন ব্যতিক্রমী উদ্যেগে সেবা পেয়ে প্রবীণরা অনেক খুশি। এর মাধ্যেমে গৃহবধূরা বাড়তি উৎসাহ পেয়ে তাদের ভূল বুঝতে পেরে আচরণে অনেক পরিবর্তন এনেছে বলে দাবি শ্বশুর-শ্বাশুরীদের।
এ নিয়ে এক বৃদ্ধা মায়ের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, “আমাদের প্রতি সেবা-যত্নের কোনো ত্রুটি নেই। ছেলের বউদেরকে মেয়ের মত ভালোবাসি। ওরাও আমাদেরকে ভালোবাসে।
সকালে উঠে দেখি বউ নাস্তা বানিয়ে রেডি করে রেখে দিয়েছে। রান্না-বান্না থেকে শুরু করে সব কাজই আমার পুত্রবধূ করে। আমি বাসায় না থাকলে ওর শ্বশুরকে খুব যত্ন করে।
অন্য এক মায়ের সঙ্গে কথা হলে তিনি বাবা মা অমূল্য সম্পদ উল্লেখ্য করে বলেন, “প্রত্যেকের কাছে তার বাবা-মা এমন একটা মূল্যবান সম্পদ যা হারিয়ে গেলে আর পাওয়া যায়না।
উপযুক্ত বয়সে তাদেরকে সন্মান করতে হবে। আদর করতে হবে। বৃদ্ধ বয়সে তাদের যেন কোনো প্রকার কষ্ট না হয়। তারা যেন ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে ভালো ব্যবহার পায়।
আসলে বাব-মা তো অনেক কষ্ট করে, পরিশ্রম করে ছোটো থেকে ছেলে মেয়েদের লালন পালন করে বড় করে। তাই বৃদ্ধ বয়সে যেন তারা এ সুফলটা সঠিকভাবে পায়।
এ মহৎ উদ্যেগ নিয়ে টাঙ্গাইলের সদর থানার পুলিশ ইনচার্জ মোশারফ হোসেন বলেন, “পরিবারের প্রবীণ সদস্যদের বিদ্ধাশ্রমে রাখার প্রতিবাদসরূপ এমন কর্মসূচি পালন করছি, যে সমস্ত ফ্যামিলিতে বাবা মা কে নিয়ে ছেলেরা বসবাস করে।
যে পুত্রবধূ তার শ্বশুর শ্বাশুরীকে নিজের বাবা মায়ের মত আদর যত্ন করে, সেবা যত্ন করে তাদের উৎসাহিত করা, আর যারা তা করেনা তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ এ ম্যাসেজ দিতে এমন কর্মসূচি।”
শহীদুল/
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: