
নিজস্ব প্রতিবেদক : ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রবিবার (২৭ আগস্ট) এক আলোচনা ও স্মরণসভার আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রোকেয়া হল।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি ব্যবস্থার বিভিন্ন আইনি দিক তুলে ধরেন।এছাড়াও বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে মদদ দেওয়া ও পরবর্তীতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করা মেজর জিয়ার ইতিহাসঘৃণ্য দিকটি তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি রোকেয়া হলের সম্মানিত প্রাধ্যক্ষ ড. জিনাত হুদা তাঁর বক্তব্যে সর্বক্ষেত্রে নারীদের অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে বঙ্গবন্ধুর যে অসামান্য কর্মতৎপরতা তা আলোকপাত করেছেন।তিনিও বঙ্গবন্ধুর খুনীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে তাদের শাস্তি কার্যকর করার কথা বলেছেন।
অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা তাঁর বক্তব্যে আরো বলেন, বাংলাদেশ কোনো চাণক্য নীতিতে চলবে না।এদেশের জনগণই এদেশের ভাগ্যনির্মাতা এবং জনগণের রায় শেখ হাসিনার পক্ষে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যাম্বাসেডর ওলিউর রহমান বলেন, মূলত বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত,অভিযুক্তদের বর্তমান অবস্থান অর্থাৎ কাদের আশ্রয়ে আছেন,তথাকথিত গনতান্ত্রিক দেশসমূহ রাজনৈতিক অ্যাসাইলামের নামে তারা মানবতাবিরোধীদের আশ্রয় দিয়েছে।এছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হলো বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের পাকিস্তানি পাসপোর্ট ছিল। মেজর জিয়ার সরাসরি তত্বাবধান ও সহযোগিতায় তারা বিভিন্ন দেশে বহাল তবিয়তে থেকেছেন।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্ট দেশের প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ করলেও আশানুরূপ সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। জাতিসংঘের মাধ্যমে ওলিউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের দেশে এনে বিচার করার ব্যাপারে কর্মতৎপরতা ও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার নিয়ে গবেষণা ও কাউন্সিল গঠন করার প্রস্তাব দেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড.এম অহিদুজ্জামান অনতিবিলম্বে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত তাদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেছেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক, রোকেয়া হলের হাউজটিউটর ও বিজনেস ফ্যাকাল্টির সহযোগী অধ্যাপক সামশাদ নওরীণ।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: