ঢাকা | সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

জবই বিলে আবারো মিলল মানবকঙ্কাল

Akbar | প্রকাশিত: ৫ মে ২০১৯ ১৩:৪২

Akbar
প্রকাশিত: ৫ মে ২০১৯ ১৩:৪২

সাপাহার, ০৫মে(অধিকারপত্র):সাপাহারে ঐতিহ্যবাহী জবই বিলে পানি সংরক্ষণ প্রকল্পের অধীনে বিলের বুক চিরে বয়ে যাওয়া দোহারা খাঁড়ি খননকালে মহিষডাঙ্গা ঘাটে ব্রিজের দক্ষিণ পার্শ্বে মাটির তলা থেকে আবার্র মিলল মানবদেহের কঙ্কাল, মাথার খুলি, বুকের হাড়সহ প্রায় ৫টি খণ্ড। রবিবার সকাল ১০টার দিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন খাঁড়ি খননকালে ড্রেজার মেশিনের ফলার সাথে উঠে আসে হাড়গুলো।

জানা গেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের লোকজন এসকেভেটর মেশিন দ্বারা জবই বিলের ওই অংশে খনন কাজ পরিচালনা করার সময় মাটির ৬-৭ ফিট নিচ থেকে আবারো এই মাথার খুলিসহ হাড়গোড় মেশিনের ফলায় উঠে আসে। সংবাদ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে আবারো এলাকার শত শত উৎসুক জনতা হাড়গুলি একনজর দেখতে বিলের ওই অংশে ভিড় জমায়।

বহু পুরনো এই হাড়গুলো দেখে অনেক বয়স্ক মানুষ মন্তব্য করেন, যেহেতু বিলটি জবই গ্রামের পার্শ্বে অবস্থিত সে কারণে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে সাপাহার উপজেলার জবই গ্রামটি পাকিস্তানি বাহিনীর দোসর রাজাকার আলবদরদের গ্রাম ছিল, স্বাধীনতার পরে অনেকেই ওই গ্রামটিকে দ্বিতীয় পাকিস্তান হিসেবে চিনত এবং স্বাধীনতার অনেক পরেও ওই গ্রামটিতে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ এর রেকর্ড বাজানো নিষিদ্ধ ছিল। সে সময় হয়তো রাজাকার ও পাকিস্তানি বাহিনী নিরীহ বাঙালিদের ধরে হত্যা করে তাদের লাশ ওই এলাকায় পুঁতে রেখেছিল।

আবার অনেকের মতে হাড়গোড়গুলো অতীতে কোনো নৌকাডুবির হতভাগ্যদের হতে পারে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল বিলের অন্য অংশে মানবদেহের ১০টি কঙ্কাল/হাড় পাওয় গিয়েছিল এবং প্রায় ৫ বছর পূর্বেও বিলের ওই খাঁড়ি খননকালে অসংখ্য হাড়গোড় পাওয়া গিয়েছিল, সে সময় ওই হাড়গোড়গুলি শিরন্টি ইউপি চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুল বাকি সংরক্ষণ করেছিলেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমিও লোকমুখে শুনেছি। হাড়গোড়গুলো বহু পুরনো, সম্প্রতিকালের কোনো ঘটনা না হওয়ায় সেগুলোকে অন্যত্র মাটির নিচে পুঁতে রাখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: