odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Sunday, 16th November 2025, ১৬th November ২০২৫

ইউরোপে করোনা ভ্যাকসিন দেয়া শুরু

amaderodhikarpatra@gmail.com | প্রকাশিত: ২৮ December ২০২০ ০৫:২৪

amaderodhikarpatra@gmail.com
প্রকাশিত: ২৮ December ২০২০ ০৫:২৪

 

প্যারিস, ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ : যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন এবং অন্য কয়েকটি দেশের পর ইউরোপিয়ান দেশগুলো করোনা ভ্যাকসিন বিতরণ শুরু করেছে।
দ্রুত সময়ে ভ্যাকসিনগুলোর উন্নয়ন এবং অনুমোদন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হচ্ছে তবে প্রাপ্যতা, কার্যকারিতা ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে এখনো প্রশ্ন রয়েছে।
একটি নতুন ভ্যাকসিন উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণে অন্তত দশ বছর লাগে, তবে এই প্রক্রিয়া কোভিড ১৯ ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত দ্রুত হয়েছে।
আমেরিকান কোম্পানি ফাইজার এবং জার্মান কোম্পানি বায়োএনটেক তৈরি ভ্যাকসিন ২ ডিসেম্বর থেকে বৃটেনে প্রয়োগের অনুমতি পেয়েছে। হাজার হাজার বয়স্ক লোক এই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ১৬ টি দেশ ফাইজার-বায়োএনটেক তৈরি ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন ফাইজার-বায়োএনটেক এবং অপর একটি আমেরিকান কোম্পানি মডেরনার ভ্যাকসিন ব্যবহারের জরুরি অনুমতি দিয়েছে।
রাশিয়া ৫ ডিসেম্বর নিজস্ব তৈরি স্পুটনিক ভি ভ্যাকসিন ব্যবহার শুরু করেছে, যদিও এটি এখনো ক্লিনিক্যাল টেস্টের তৃতীয় ধাপে রয়েছে। চীন ইতোমধ্যেই তাদের কিছু ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে, এরমধ্যে কিছু ভ্যাকসিনের এখনো আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেয়া হয়নি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, মোট ১৬ টি ভ্যাকসিন উন্নয়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, এর অনেকগুলো ইতোমধ্যেই বাজারে এসেছে।
ইউরোপিয়ান মেডিসিন এজেন্সি’র (ইএমএ) অনুমোদনের পর রবিবার থেকে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু হতে পারে।
প্রতিটি সদস্য দেশ তাদের ভ্যাকসিন সরবরাহে অগ্রাধিকার নির্ধারণে নেতৃত্ব দেবে।
তবে তিনটি সদস্য দেশ জার্মানি, হাঙ্গেরি এবং স্লোভাকিয়া একদিন আগে শনিবার ভ্যাকসিন দেয়ার কাজ শুরু করেছে।
গত ৯ নভেম্বর থেকে ৪ টি ভ্যাকসিন, ফাইজার-বায়োএনটেক, মডেরনা, বৃটেনে আস্ত্রাজেনিকা ও অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে তৈরি ভ্যাকসিন এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান গামালিয়া ঘোষণা দিয়ে আসছে যে, তাদের উৎপাদিত ভ্যাকসিন কার্যকর ও নিরাপদ।
এই ঘোষণার ভিত্তি ছিল তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল টেস্ট, কয়েক হাজার স্বেচ্ছাসেবীর ওপর এই টেস্ট চালানো হয়।
তবে বিস্তারিত ডাটা পাওয়া গেছে ফাইজার-বায়োএনটেক এবং আস্ত্রাজেনিকা থেকে। বিজ্ঞান সাময়িকী দ্য ল্যানসেট ৪ ডিসেম্বর এটি নিশ্চিত করেছে যে, আস্ত্রাজেনিকার ভ্যাকসিন ৭০ শতাংশ কার্যকর।
এফডিএ নিশ্চিত করেছে, ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিন ৯৫ শতাংশ, মডেরনার ৯৪.১ শতাংশ এবং রাশিয়ার স্পুটনিক ভি ৯১.৪ শতাংশ কার্যকর।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: