odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

আগামী ২০২৫ সালে নতুন শিক্ষাক্রম পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করা হবে : শিক্ষামন্ত্রী

amaderodhikarpatra@gmail.com | প্রকাশিত: ১৯ December ২০২১ ০৩:৫৫

amaderodhikarpatra@gmail.com
প্রকাশিত: ১৯ December ২০২১ ০৩:৫৫

 

ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২১ : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, আগামী ২০২৫ সালে নতুন শিক্ষাক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে বাস্তবায়ন  করা হবে। ২০২৩ সাল থেকে এটি ধাপে ধাপে চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০২২ সাল থেকে প্রাথমিকে ১০০টি এবং মাধ্যমিকে ১০০টি  প্রতিষ্ঠানে পাইলটিং শুরু হচ্ছে। এজন্য শিক্ষকদের  প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে ও  টিচার্স গাইড তৈরি হচ্ছে।
মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাকার্যক্রম বিষয়ে তিনি বলেন, প্রাথমিকের ১০০, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ১০০টি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ২০২৩ সালে পাইলটিং এর আওতায় আনা হচ্ছে। মাধ্যমিকের সঙ্গে মাদরাসা ও কারিগরী মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণিতে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের শিখনকালীন মূল্যায়ন ৬০ শতাংশ ও বছর শেষে  সামষ্টিক মূল্যায়ন  ৪০ শতাংশ।
 তিনি আরো বলেন, সারাদেশে ২০২৩ সাল থেকে নতুন শিক্ষাক্রম কার্যক্রম শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু করবো। ২০২৫ সাল থেকে সারাদেশে এটি পূর্ণাঙ্গভাবে বস্তবায়নে হবে।
প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষাব্যবস্থায় বড় ধরনের সংস্কার আসছে। এর আলোকে নবমশ্রেণি থেকে দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক কোন গ্রুপ থাকছে না। এছাড়া পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) এবং অষ্টম শ্রেণির জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট  (জেএসসি) পরীক্ষা থাকবে না। 
এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা উপস্থাপন বিষয়ে  আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, আগামীতে নতুন করে পরিমার্জিত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে আনন্দদায়ক করতে সনাতন শিক্ষা ব্যবস্থায় আনা হচ্ছে পরিবর্তন। 
নতুন প্রণীত জাতীয় শিক্ষাক্রমের রূপরেখা তৈরিতে এনসিটিবির পাশাপাশি শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে বিশেষজ্ঞ কমিটি কাজ করছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: