
অধিকার পত্র ডটকম ডেস্ক
বিজয়া দশমীতে নারকেল নাড়ু বানানোর পর নারকেলের খোলা ফেলে না দিয়ে, বরং বাগানে ব্যবহার করে সজীবতা আনুন। নারকেলের খোলা বাগানে ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি পরিবেশবান্ধব এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক উপায় অবলম্বন করতে পারেন।
নারকেলের খোলা দিয়ে কীভাবে বাগান করবেন?
১. কোকোপিট বা কোকোডাস্ট তৈরি
নারকেলের খোলার গুঁড়ো বা কোকোপিট মাটির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটি মাটির তুলনায় ৮-১০ গুণ বেশি জল ধারণ করতে সক্ষম, ফলে গাছের শিকড় দ্রুত বাড়ে এবং ঘন ঘন জল দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। বিশেষ করে ছাদ বাগানে এটি অত্যন্ত উপযোগী।
২. জৈব সার বা হিউমাস তৈরি
নারকেলের খোলা পচিয়ে জৈব সার বা হিউমাস তৈরি করা যায়। এতে পটাশিয়ামসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান থাকে, যা গাছকে পুষ্টি সরবরাহ করে এবং মাটিতে উপকারী মাইক্রোবিয়াম সক্রিয় রাখে।
৩. মালচিং হিসেবে ব্যবহার
মালচিং মাটির জলধারণ ক্ষমতা বজায় রাখে এবং মাটির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। নারকেলের খোলা দিয়ে মালচিং করলে মাটির আর্দ্রতা বজায় থাকে এবং আগাছা জন্মাতে বাধা দেয়।
উপকারিতা
-
জল ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি: কোকোপিট মাটির তুলনায় অনেক বেশি জল ধারণ করতে পারে, ফলে গাছের শিকড় দ্রুত বাড়ে।
-
পুষ্টি সরবরাহ: পচানো নারকেলের খোলা মাটিতে পটাশিয়ামসহ বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে।
-
পরিবেশবান্ধব: নারকেলের খোলা পুনর্ব্যবহার করে পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা প্রকাশ করা যায়।
নারকেলের খোলা বাগানে ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি পরিবেশবান্ধব এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক উপায় অবলম্বন করতে পারেন। এটি গাছের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে এবং বাগান
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: