odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Saturday, 15th November 2025, ১৫th November ২০২৫

জেরুজালে দূতাবাস স্থানান্তরের ঘোষণা অস্ট্রেলিয়ার

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৬ October ২০১৮ ১৩:১৯

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৬ October ২০১৮ ১৩:১৯

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী স্বীকৃতি দিতে যুক্তরাষ্ট্রের পথেই হাঁটার ঘোষণা দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী।

মঙ্গলবার অস্ট্রেলিয়ার দূতাবাস ইসরায়েলের রাজধানী তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

গত ১৪ মে তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন এই পদক্ষেপ বিশ্ব জুড়ে সমালোচিত হয়।

স্কট মরিসন বলেছেন, ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্ব সমাধানে দুই রাষ্ট্রের নীতিতে বিশ্বাস করে অস্ট্রেলিয়া। এখনো তারা এই নীতিতেই আছেন।

অস্ট্রেলিয়ার উপনির্বাচনকে সামনে রেখে ভোট পাওয়ার আশায় মরিসনের এই ঘোষণাকে ‘প্রতারণাপূর্ণ’ বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিরোধী দলের নেতারা।

জেরুজালেম ইস্যুতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছে। গত বছর ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে যুক্তরাষ্ট্রের ইসরায়েলি দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করবেন। গত ৬ ডিসেম্বরে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। এই ঘোষণার পর ফিলিস্তিনিরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। বিশ্বজুড়ে ট্রাম্পের ঘোষণার সমালোচনা শুরু হয়। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের স্বীকৃতি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভোটাভুটি হয়। তাতে ট্রাম্পের ঘোষণা প্রত্যাখ্যাত হয়। ভোটাভুটিতে ১২৮ সদস্য ট্রাম্পের ঘোষণা প্রত্যাহারের পক্ষে ভোট দেয়। বিপক্ষে ভোট দেয় মাত্র নয়টি দেশ। ৩৫টি দেশ ভোটদানে বিরত থাকে। তারপরও নিজের নীতিতে অনড় থেকে চলতি বছরের মে মাসে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর  ট্রাম্প।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে মন্ত্রিসভা ও অন্যান্য দেশের সঙ্গে এই বিষয়ে আলোচনা করবেন।

মঙ্গলবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন দুই রাষ্ট্র নীতিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তবে অকপটে বলতে চাই, বিষয়টির সমাধান এখনই হচ্ছে না। এই সমস্যার সমাধানে ব্যাপক কোনো কাজ হয়নি।’

তিনি বলেছেন, তার দেশের পক্ষে দুটি রাষ্ট্রের সমাধান সমর্থন করা এবং জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া সম্ভব হতে পারে- অস্ট্রেলিয়ার যে তারিখটি নির্ধারণ করেছিল তা করা অসম্ভব ছিল।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভবিষ্যতে প্রেক্ষাপট এমন হতে পারে যে, পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী এবং পশ্চিম জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এই বিষয়ে অস্ট্রেলিয়াকে খোলা মনের হওয়া উচিত।

সোমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্তী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘আমি আজ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে জানিয়েছেন, অস্ট্রেলিয়া জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে এবং জেরুজালেমে তাদের দূতাবাস স্থানান্তরের বিষয়টি বিবেচনা করছে। আমি এই কারণে তার খুবই কৃতজ্ঞ। আমরা দুই দেশের সম্পর্ক মজবুত করার কাজ চালিয়ে যাব।’

এর আগে ম্যালকম টার্নবুল অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তরে যুক্তরাষ্ট্রের পথ অনুসরণ করেননি।-খবর বিবিসির।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: