odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Saturday, 15th November 2025, ১৫th November ২০২৫

পূর্বপরিকল্পনা করেই খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে-এরদোয়ান

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৩ October ২০১৮ ১৮:৩০

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৩ October ২০১৮ ১৮:৩০

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডকে পূর্বপরিকল্পিত ও বর্বরোচিত হিসেবে উল্লেখ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

২৩ অক্টোবর, মঙ্গলবার তুরস্কের পার্লামেন্টে দেওয়া বক্তৃতায় এরদোয়ান এমন কথা বলেন।

খাসোগি হত্যা নিয়ে এরদোয়ানের এই বক্তব্য ছিল বহুল আকাঙ্ক্ষিত। আগেই তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, এদিন তিনি সংসদে খাসোগি হত্যার ‘নগ্ন সত্য’ তুলে ধরবেন।

খাসোগি হত্যা নিয়ে নানা কথা বললেও এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সৌদি রাজপরিবারের কাউকে সরাসরি দোষারোপ করেননি এরদোয়ান।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘গত ২৮ সেপ্টেম্বর খাসোগি কিছু কাগজপত্রের জন্য ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে গিয়েছিলেন। মনে হচ্ছে, তারপরই দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাকে খুনের পরিকল্পনা শুরু করেন।’

তিনি বলেন, ‘দূতাবাসে ঢোকার পর খাসোগি সেখান থেকে আর বের হননি, এটা নিশ্চিত। তাকে খুন করার আগে কর্মকর্তারা ইস্তাম্বুলের বেলগ্রেড জঙ্গল এবং উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ ইয়ালোভায় রেকি করেছিলেন।’

পূর্বপরিকল্পনার দাবি স্পষ্ট করতে এরদোয়ান বলেন, ‘২৮ অক্টোবর খাসোগি দূতাবাসে যাওয়ার পর কিছু কর্মকর্তা তুরস্ক ছাড়েন এবং নতুন কিছু কর্মকর্তা তুরস্কে প্রবেশ করেন। এসব প্রমাণ করে যে, খাসোগি হত্যা ছিল পূর্বপরিকল্পিত। ’

খাসোগির হত্যাকাণ্ডকে ‘রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড’ হিসেবেও বর্ণনা করেন এরদোয়ান। এ ঘটনা তদন্তে অন্য দেশের বিশেষজ্ঞদেরও নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
২ অক্টোবর সাংবাদিক জামাল খাসোগি সৌদি দূতাবাসে প্রবেশের পর থেকে নিখোঁজ হন। ২৮ অক্টোবর দূতাবাসে গেলে তাকে ওই দিন আবারও দূতাবাসে আসতে বলা হয়।

খাসোগি নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি সর্বপ্রথম তুরস্ক সরকারকে জানান তার তুর্কি বাগদত্তা হেতিসে চেঙ্গিজ। তুরস্ক সরকারের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সঙ্গে সঙ্গে দূতাবাসের কনসাল জেনারেলকে ফোন করেন।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে ওই কর্মকর্তা পরে সংবাদমাধ্যমকে জানান, কনসাল জেনারেলকে খাসোগির বিষয়ে জিজ্ঞাসা করায় তিনি বেশ হতবাক হয়েছেন বলে মনে হয়েছে তার। তবে তিনি খাসোগির বিষয়ে কিছু জানেন না বলে সে সময় দাবি করেছিলেন।

সৌদি আরব প্রথম থেকেই খাসোগির নিখোঁজের বিষয়ে নিজেদের সংশ্লিষ্টতার কথা অস্বীকার করে। তবে প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে পশ্চিমা দেশগুলোর উত্তরোত্তর চাপ বৃদ্ধির পর সৌদি আরব অবশেষে স্বীকার করেছে যে খাসোগিকে দূতাবাসের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাসোগি হত্যাকাণ্ডকে ‘সৌদি আরবের মারাত্মক ভুল’ হিসেবে সরাসরি স্বীকার করেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: