odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Saturday, 15th November 2025, ১৫th November ২০২৫

শতভাগ ভোট পেলেন কিম জং উন

Akbar | প্রকাশিত: ১১ March ২০১৯ ০৮:১৭

Akbar
প্রকাশিত: ১১ March ২০১৯ ০৮:১৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: নির্বাচনে শতভাগ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। রবিবার অনুষ্ঠিত হয়ে গেল দেশটির সাধারণ নির্বাচন।

উল্লেখ্য, এবারের এই নির্বাচন কিম জং উনের শাসনমলে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় নির্বাচন। তবে, এই নির্বাচনে সব আসনেই প্রার্থীর সংখ্যা মাত্র ছিল একজন। বিগত নির্বাচনগুলোতেও প্রতি আসনে ১ জনই প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন।

বিবিসি'র একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দেশটির সংসদ ‘সুপ্রিম পিপলস অ্যাসেম্বলি'র (এসপিএ) এই নির্বাচনে প্রার্থী মোট ৭০০ জন হলেও প্রতিটি আসনেই প্রার্থী মাত্র ১জন। কোনও আসনেই বিকল্প কোন প্রার্থী নেই। দেশটির প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী সেখানকার ভোটারদের কোন সিল কিংবা ব্যালট পেপার পূরণ করা লাগেনা। ভোটের দিন ভোটারদের শুধু প্রতিটি আসনের জন্য নির্ধারিত প্রার্থীর নাম লেখা ব্যালট পেপার ব্যালট বাক্সে ফেলে দিয়ে হয়।

আরো জানা যায়, দেশটির নির্বাচনে ভোটারদের ব্যালট পূরণ করতে হয় সবার সামনে। আড়ালে গিয়ে ভোট দেওয়া এবং নির্ধারিত প্রার্থীদের নাম কেটে দেওয়ার বিধান থাকলেও কোন ভোটার এই পদ্ধতি অবলম্বন করলে তার উপর শুরু হয় উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দাবাহিনীর নজরদারি। উত্তর কোরিয়ার পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলোতে যেসব ভোটার এই নিয়মের ব্যতিক্রম করেছেন তাদেরকে 'মানসিক ভারসাম্যহীন' হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল দেশটির সরকার।

বিবিসি'র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঁচ বছর পর পর উত্তর কোরিয়ার এসপিএ নির্বাচনে ৭০০ জন প্রার্থী 'জনগণের ভালোবাসায়' নির্বাচিত হয় থাকেন। প্রতিবারই দেশটির নির্বাচনে বর্তমান শাসক পরিবার শতভাগ ভোট পেয়ে জয়লাভ করে থাকে।

উত্তর কোরিয়ার পূর্ববর্তী নির্বাচনগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে উত্তর কোরিয়া বিশেষজ্ঞ ফিওদোর টেরটিটস্কি দেশটির নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, "ভোটের দিন শাসক পরিবারের প্রতি প্রচণ্ড ভালোবাসা ‘দেখাতে’ নাগরিকরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হন। শুরু থেকেই কেন্দ্রগুলোতে থাকে দীর্ঘ লাইন। সেখানে প্রত্যেক ভোটারের হাতে একটি করে ব্যালট পেপার দিয়ে দেওয়া হয় যাতে একজন প্রার্থীরই নাম থাকে"।

"ভোট দেওয়াই শেষ নয়। ভোটকেন্দ্র থেকে হাসিমুখে বেরিয়ে আসতে হয় ভোটারদের, যাতে প্রকাশ পায় এক দলীয় শাসন ব্যবস্থায় থাকা উত্তর কোরিয়ার ‘জ্ঞানী নেতৃত্বকে’ ভোট দিতে পেরে আনন্দ অনুভূত হচ্ছে!", যোগ করেন তিনি।

তিনি জানান, উত্তর কোরিয়ার নিয়ময়ানুযায়ী ১৭ বছরের বেশি বয়সী সবাইকেই বাধ্যতামূলক ভোট প্রদান করতে হয়। যারা ভোট দিতে যায় না, ধরে নেওয়া হয় তারা চীনে পালিয়ে গেছে।

যে সংসদ গঠন করাকে নিয়ে এতো আয়োজন সেই সংসদের ক্ষমতা কতখানি তা নিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রশ্ন তুলেছে বারবার।

এ প্রসঙ্গে টেরটিটস্কি বলেন, "আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলে থাকে, উত্তর কোরিয়া সংসদের ক্ষমতা সীমিত। কিন্তু তা সত্য নয়। আসলে সংসদ পুরোপুরি ক্ষমতাশূন্য"।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: