odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫
কোথা থেকে কিভাবে শুরু করবো তাও জানতাম না। তারপরও পথে নেমেছি। অনেক ভুল-ভ্রান্তি হয়তো হয়েছে

যুব গেমস : আমাদের গন্তব্যই জানা ছিলো না : শাহেদ রেজা

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২২ March ২০১৮ ২২:১৮

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২২ March ২০১৮ ২২:১৮

যুব গেমস : আমাদের গন্তব্যই জানা ছিলো না : শাহেদ রেজা

 আমাদের গন্তব্যই জানা ছিলো না, কোথা থেকে কিভাবে শুরু করবো তাও জানতাম না। তারপরও পথে নেমেছি। অনেক ভুল-ভ্রান্তি হয়তো হয়েছে। তবে পরবর্তীতে নিয়মিত আয়োজন করা গেলে এখান থেকেই একদিন অলিম্পিকে পদকজয়ী খেলোয়াড় বেরিয়ে আসবে। আজ ঢাকা ক্লাবে যুব গেমস নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের ক্রীড়া বিভাগের প্রধানদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা।
দেশে প্রথমবারের মতো ২১ ডিসিপ্লিনের ১৫৯ ইভেন্ট নিয়ে আয়োজন করা হয় যুব গেমসের (অনূর্ধ্ব-১৭)। উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শেষে গত (১০-১৬ মার্চ) ঢাকায় আয়োজন করা হয় চুড়ান্ত পর্বের। চুড়ান্ত পর্বের এক সপ্তাহ পরই গেমস আয়োজনের নানা দিক, ত্রুটি-বিচ্যুতি এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিওএ মহাসচিবের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন বিভিন্ন দৈনিক, অনলাইন মিডিয়া, সংবাদ সংস্থা ও টেলিভিশন চ্যানেলের প্রতিনিধিরা। বিওএর পক্ষে সহ-সভাপতি বশির আহমেদ মামুন, উপ-মহাসচিব আসাদুজ্জামান কোহিনুর ও কোষাধ্যক্ষ কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল উপস্থিত ছিলেন।
সাধারণত কোন বড় আসর আয়োজনের পর আয়োজকদের পরবর্তী কিছুদিন কাটে বিশ্রামে। তবে এবার নজিরবীহিন উদাহারণ সৃষ্টি করেছে বিওএ। সংশ্লিষ্ঠ ফেডারেশনগুলোর কাছে প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের তালিকা চেয়েছে (বেশীর ভাগ ফেডারেশনই তালিকা দেয়নি)। ইতিমধ্যে বিওএ সভাপতির মাধ্যমে যোগাযোগ করা হয়েছে বিকেএসপির সঙ্গে। তাদের নিয়মিত ডিসিপ্লিনে এসব ক্রীড়াবিদদের একত্রীভুত করার বিষয়ে। যেসব ডিসপ্লিন বিকেএসপিতে নেই তাদের জন্য সংশ্লিষ্ট ফেডারেশনের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিসহ গেমস সংশ্লিষ্ঠ অন্যান্য অংশী জনের কাছ থেকে মতামত নিয়ে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা করা হবে প্রতিভাবানদের প্রশ্ক্ষিন কার্যক্রম ও পরবরতী গেমস আরেয়াজন করা। বিওএ মহাসচিব প্রতিচারবছরে একবার করে যুব গেমস ও বাংলাদেশ গেমস (দুবছর পরপর) আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন।
গত বছরের শেষভাগে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের আসর শেষে গত ৮ জানুযারী শুরু হয় বিভাগীয় পর্যায়ের খেলা। শেষ হয় ১৩ জানুয়ারী। বিভাগীয় পর্যায়ের পর মূল আসরের সুযোগ পায় প্রায় ২৬৬০ জন প্রতিযোগী। ফলে এ আসর নিয়ে গত কয়েকমাস ব্যস্ত ছিল দেশের ক্রীড়াঙ্গন। কর্ম ব্যস্ত ছিল সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন গুলো। প্রতিযোগিদের অনেকেই প্রথমবারের মত ঢাকায় এসেছে, তৃনমূল থেকে উঠে আসা ক্রীড়াবিদরা সমান তালে লড়েছে বিকেএসপির প্রশিক্ষিতদের সঙ্গে। বেশীরভাগ না পারলেও অনেকেই বিকেএসপির খেলেয়াড়দের টপকে স্বর্ণ জিতেছেন। অনেকেই মত দিয়েছেন বিকেএসপিকে বাইরে রাখার, পাল্টা তাদের নিয়েই আসরের মান বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন কেউ কেউ।
আলোচনায় উঠে এসেছে বিজয়ীদের শুধুমাত্র পদক ও সার্টিফিকেট দেয়া হয়েছে। অনেক ফেডারেশনই তাদের খেলোয়াড়দের সঠিকভাবে খাদ্য ও থাকার জন্য ভালো ব্যকস্থা রাখেনি। বিওএ থেকে জানানো হয়েছে আইওসি চার্টারে নন প্রফেশনাল গেমসে অর্থ পুরস্কারের সুযোগ না থাকায় জেলা পর্যায়ে পদক জয়ীদের কিছু আর্থিক পুরস্ককার প্রদান করা হয়েছে ভিন্ন আঙ্গিকে। এ ছাড়া যাতায়াতের জন্যও অর্থ প্রদান করা হয়েছে।
গেমস আয়োজনের মধ্যদিয়ে শুধু প্রতিভাবান খেলোযাড়রাই উঠে আসেনি, তৃণমুল পর্যায়ে কোচ ও সংগঠকদের দক্ষতারও একটা মান যাচাই হয়েছে। ফলে তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠন কোথায় কতটা বিকশিত কিংবা কোথায় ঘাটতি আছে , কোচদের মান কেমন তার একটা চিত্রও বিওএ পেয়েছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: