odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

সিঙ্গাপুরের সঙ্গে পানি চুক্তি নিয়ে পুনরায় আলোচনা করতে চান মাহথির

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ২৫ June ২০১৮ ২২:২৫

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ২৫ June ২০১৮ ২২:২৫

 

কুয়ালালামপুর,  মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহথির মোহাম্মদ সোমবার বলেছেন যে, তিনি সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ‘অভাবনীয়’ পানি সরবরাহ চুক্তি নিয়ে নতুন করে আলোচনা করতে চান। গত মাসের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের পর এটাই হচ্ছে প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মাহথিরের সর্বশেষ বক্তব্য।
এক সময়ে মাহথিরের নেতৃত্বাধীন দীর্ঘদিনের সরকার দলীয় জোটকে পরাজিত করে বর্তমানে তার নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলীয় জোট বিজয়ী হয়ে দ্বিতীয় দফায় তিনি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হন।
১৯৮১ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মাহথিরের প্রথম দফার দায়িত্বকালে ছোট্ট এই নগর রাষ্ট্রটির সঙ্গে মালয়েশিয়ার সম্পর্ক ছিল বন্ধুর। এবারও ক্ষমতায় এসে তিনি এই ছোট প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে আলোচনার ব্যাপারে দ্রুত উদ্যোগ নিয়েছেন।
তিনি তার সর্বশেষ যুক্তি হিসেবে বলেন, এটি একটি সুস্পষ্ট অভাবনীয় চুক্তি যে মালয়েশিয়া তার প্রতিবেশী দেশটির কাছে প্রতি এক হাজার গ্যালন পানি ৩ মালয়েশিয়ান সেন্টে (এক মার্কিন সেন্টেরও কম) বিক্রি করে। এটা ১৯৯০ বা ১৯৩০-এর দশকে ঠিক ছিল। কিন্তু এখন ৩ সেন্ট দিয়ে আপনি কি কিনতে পারবেন? কোন কিছুই না।
তিনি সিঙ্গাপুরের সম্প্রচার চ্যানেল নিউ এশিয়ার সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন।
এ চুক্তি নিয়ে পুনরায় আলোচনা বা সমঝোতা সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে ৯২ বছর বয়স্ক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিষয়টি নিয়ে পর্যালোচনা এবং এ নিয়ে একটি ইতিবৃত্ত তৈরি করছি।
সিঙ্গাপুর সরকার এ বক্তব্যের ব্যাপারে কোন মন্তব্য করেনি।
সিঙ্গাপুরের চাহিদার বিপুল পরিমাণ পানি আসে মালয়েশিয়ার জোহর রাজ্য থেকে। ১৯৬২ সালের চুক্তির ভিত্তিতে দেশটি জোহর নদী থেকে প্রতিদিন ২৫০ গ্যালন মিলিয়ন পর্যন্ত পানি নিতে পারে।
জাতিগত ইস্যুতে ১৯৬৫ সালে স্বল্পস্থায়ী সংঘাতপূর্ণ ইউনিয়ন মালয়েশিয়ান ফেডারেশন থেকে সিঙ্গাপুর বহিষ্কৃত হলে দু’দেশের সম্পর্কে সংকটের সৃষ্টি হয়।
পরবর্তী দশকগুলোতে পানি ইস্যুতে বিভিন্ন সময় এই সম্পর্ক বিবাদপূর্ণ হয়ে উঠে। তবে সর্বশেষ নাজিব রাজাক সরকারের সময় এই সম্পর্ক উষ্ণ ছিল। অবশ্য মাহথিরের পুনপ্রত্যাবর্তনের পর এই উষ্ণ সম্পর্কে ইতোমধ্যে শীতলতার আবহ পরিলক্ষিত হচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: