odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

মিয়ানমারের হাজার হাজার নারী পাচার, বিক্রি হচ্ছে চীনে

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ৮ December ২০১৮ ১৬:৩৬

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ৮ December ২০১৮ ১৬:৩৬

পাচারের শিকার হচ্ছে মিয়ানমারের হাজার হাজার নারী। প্রধানত সংঘাতকবলিত দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় থানলিন, কাচিন ও শান রাজ্যের নিরীহ নারী ও কিশোরীদের চীনে পাচার করা হচ্ছে।

সেখানে হাটে-বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে যৌনদাসী হিসেবে। বাধ্য করা হচ্ছে জোরপূর্বক বিয়েতে। কয়েক দশক ধরে এক সন্তান নীতির কারণে দেশটিতে নারীর যে বিশাল ঘাটতি তৈরি হয়েছে তার বলি হচ্ছে এসব নারী ও কিশোরীরা।

নতুন এক গবেষণা রিপোর্টে এসব তথ্য উঠে এসেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ‘জন হপকিন্টস ব্ল–মবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথ’র গবেষকদের রিপোর্ট অনুযায়ী প্রতিবেদনে বলা হয়, বহুদিন ধরে এক সন্তান নীতির কারণে চীনে নারীর সংখ্যা পুরুষদের চেয়ে ব্যাপক হারে কমে গেছে। মোট নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা ৩ কোটি ৩০ লাখ বেশি। এ কারণে দেশটির বহু পুরুষই অবিবাহিত রয়ে যাচ্ছে। নারী ও পুরুষের সংখ্যায় এ ব্যবধান কমানোর সহজ সমাধান হিসেবে কম্বোডিয়া, লাওস, মিয়ানমার ও ভিয়েতনামের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে লাখ লাখ দরিদ্র নারীকে টার্গেট করা হয়েছে। চাকরি, উন্নত জীবন ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের পাচার করা হচ্ছে। কেউ কেউ স্বেচ্ছায় গেলেও অধিকাংশকেই জোরপূর্বক পাচার করা হচ্ছে।

মূলত চরম দারিদ্র্য, সংঘাত ও বাস্তুচ্যুতির কারণে সহজেই প্রলোভনের শিকার হয় মিয়ানমারের নারীরা। সম্প্রতি কাচিন, শান ও রাখাইন রাজ্যে ভয়াবহ সহিংসতা ও সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে ঘরবাড়ি ছেড়ে বনে-জঙ্গলে আশ্রয় নেয় কয়েক লাখ বাসিন্দা।

খাদ্য, বস্ত্র ও আশ্রয়হীন এসব মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে পাচারকারীরা। পাচারের পর সাধারণত উচ্চমূল্যে বিক্রি করা হয়। বয়স যত কম দাম ততই বেশি। সবচেয়ে কম বয়সী কিশোরীরা ১০ থেকে ১৫ হাজার ডলারে বিক্রি হয়। সাধারণত চীনের বয়স্ক, অসুস্থ ও অক্ষম পুরুষরাই খরিদ্দার। গবেষকরা বলছেন, মূলত বাচ্চা জন্ম দেয়ার জন্য তরুণীদের বিয়ে করেন এসব পুরুষ।

দুয়েকটা বাচ্চা জন্ম দেয়ার পর স্ত্রীকে ফের অন্যত্র বিক্রি করে দেয়ার ঘটনাও গবেষণায় দেখা গেছে।-খবর এএফপির।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: