odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

মন্ত্রণালয়ের ৫ সমস্যা সমাধানের নির্দেশ শিক্ষামন্ত্রীর

Mahbubur Rohman Polash | প্রকাশিত: ১৪ January ২০১৯ ২০:৪৬

Mahbubur Rohman Polash
প্রকাশিত: ১৪ January ২০১৯ ২০:৪৬

স্টাফ রিপোর্টার
পাঠ্যপুস্তকের কারিকুলাম পরিবর্তন, প্রশ্নফাঁস রোধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, শিক্ষা প্রশাসন কার্যকর ও কোচিং বাণিজ্য বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন নতুন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ বিভাগের আট উইং প্রধানদের সঙ্গে সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা সভায় কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন মন্ত্রী। এ সময় মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগের উপমন্ত্রী মহিবুর হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।

সভায় উপস্থিত একাধিক কর্মকর্তা জানান, নতুন শিক্ষামন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণের পর সোমবার প্রথমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উইং প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে উইং প্রধানরা গত ১০ বছরের সব অর্জন ও সফলতা তুলে ধরেন। পাশাপাশি তাদের নিজ নিজ কার্যক্রম তুলে ধরেন প্রজেক্টরের মাধ্যমে। এর সঙ্গে বিদ্যমান সমস্যাগুলোও উল্লেখ করা হয়।

তারা জানান, বর্তমানে পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ করা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ বিষয়ে নতুন নতুন পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, ফরমপূরণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাড়তি অর্থ আদায় করা হচ্ছে। দ্রুত এটি বন্ধ করতে নতুন পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। শিক্ষা খাত পরিচালনায় শিক্ষা প্রশাসন আরও কার্যকর করা, কোটিং বাণিজ্যের দৌরাত্ম্য বন্ধ ও যুগোপযোগী কারিকুলাম প্রণয়নের জন্য কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি দীর্ঘদিন আটকে থাকা শিক্ষা আইন পাসের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করার বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে। শিক্ষা আইন বাস্তবায়ন হলে বিদ্যমান অনেক সমস্যা দূরীকরণ করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন উইং প্রধানরা।

জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন জাগো নিউজকে বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম মন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি প্রশ্ন ফাঁসসহ বর্তমান সঙ্কটগুলো নিয়েও আলোচনা হয়েছে। দ্রুত এসব সমস্যা লাঘর করে শিক্ষা প্রশাসনকে আরও কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।’

সচিব বলেন, ‘আমাদের সন্তানদের জন্য পাঠ্যপুস্তকের কারিকুলাম পরিবর্তনের আলোচনা হয়েছে। তাই নতুন কারিকুলাম তৈরির জন্য বলা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন খাতের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এটিকে একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে কীভাবে আনা সম্ভব হয় সে বিষয়েও আমরা আলোচনা করেছি।’

জানতে চাইলে সভায় উপস্থিত কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিগত ১০ বছরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ব্যাপক কার্যক্রম হাতে নিয়ে সফলতা অর্জন করেছে। সেসব বিষয়ে উইং প্রধানরা সভায় নিজ নিজ অবস্থান ও কার্যক্রম তুলে ধরেন। প্রশাসনে কে কী দায়িত্ব পালন করছেন সে সর্ম্পকে ধারণা দেয়া হয়েছে।’

শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতা আমরা বিশ্বাস করি, তাই বিগত দিনে শিক্ষাখাতে সব উন্নয়নে যে ধারা ছিল তা বজায় রাখা হবে। বিদ্যমান সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের দায়িত্ববোধ সর্ম্পকে অবগত থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

শিক্ষা মন্ত্রণালালয়ের সভাকক্ষে এ বৈঠক সকাল ১১টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত চলে। সভায় সরকারি-বেসরকারি বিদ্যালয় শাখা, কলেজ শাখার দুই শাখা, বিশ্ববিদ্যালয়, উন্নয়ন, প্রশাসন, পরিকল্পনা উইং প্রধান ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: