odhikarpatra@gmail.com ঢাকা | Friday, 14th November 2025, ১৪th November ২০২৫

বরের লাশ বের হলো বিয়ের গেইট দিয়ে

odhikar patra | প্রকাশিত: ১৪ September ২০১৯ ০৪:০৩

odhikar patra
প্রকাশিত: ১৪ September ২০১৯ ০৪:০৩

 

কথা ছিলো রঙিন গেইট দিয়ে নববধূকে ঘরে তুলবেন প্রবাস ফেরত বর মোহাম্মদ সোলাইমানের (৩০)। কিন্তু তার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মা’রা যান তিনি। এরপর সেই রঙিন গেইট দিয়েই তার শবদেহবাহী কফিনটি নিয়ে যাওয়া হয় দাফনের উদ্দেশ্যে। হৃদয়বিধারক এই ঘটনাটি গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার হোছনাবাদ ইউনিয়নের মোগলের হাট নলুয়ারপাড়া গ্রামে ঘটে।

জানা যায়, বিয়ে উপলক্ষে প্রায় দুই সপ্তাহ আগে থেকেই নিমন্ত্রণপত্র ছাপিয়ে মেহেমানদের মাঝে বিলি করা হয়। গত কয়েক দিন ধরে ঘর সাজানো, বিয়ের প্যান্ডেল, গেইট, লাইটিং সহ যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল।

প্রবাস ফেরত বর মোহাম্মদ সোলাইমানের মেহেদী রাত ছিল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর)। আর বৃহস্পতিবার ছিল তার বিয়ে অনুষ্ঠান। কিন্তু মেহেদীর দিন সকাল ৯টার দিকে মা’রা যান তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মির্জা সেকান্দর হোসেন।

তিনি বলেন, বিয়ের পাত্রির সাথে তার ১০ দিন আগে সামাজিকভাবে আকদ হয়। বুধবার মেহদী অনুষ্ঠান ও বৃহস্পতিবার বিয়ে অনুষ্ঠান ছিল। এজন্য বিয়ের ক্লাব, ঘর সাজানো, মেহেমান আসা সহ যাবতীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিল।

আগেরদিন রাত থেকেই তার শরীর খারাপ লাগার বিষয়টি বাড়ির লোকদের জানিয়েছিল। সকালেও নতুন বউয়ের সাথে তার ফোনে কথা হচ্ছিল।

কিন্তু কথা বলতে বলতেই খারাপ লাগছে বলে মাটিতে পড়ে গিয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে সে। স্থানীয়রা তার চোখেমুখে পানি দেওয়ার পরও তার জ্ঞান ফিরছিল না। পরে তাকে চন্দ্রঘোনা মেশন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃ’ত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক জানান, হৃদরোগেই মৃ’ত্যু হয়েছে ওই যুবকের।

এমন মৃ’ত্যুতে মেহেমানসহ পরিবারের স্বজনরা যেখানে আনন্দ-উৎসব করার কথা ছিল, সেখানে লা’শের কফিনকে ঘিরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। বিয়ে বাড়ির এমন শোকের মাতম ছড়িয়ে পড়েছে পুরা উপজেলায়।

পরিবারের স্বজনরা জানায়, নিহত সোলাইমান পরিবারের সবার বড় সন্তান। দীর্ঘ সময় প্রবাসে ছিল সে। সম্প্রতি দেশে ফিরলে স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের শান্তিনিকেতন এলাকা থেকে তার বিয়ের পাত্রি ঠিক হয়।

গত ১০ দিন আগে তার আকদও সম্পন্ন হয় ওই মেয়ের সাথে। সেই থেকে ফোনে তাদের নিয়মিত কথা হতো। মা’রা যাওয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত তার সাথে কথা হয়েছিল বর সোলাইমানের।

কিন্তু যেদিন তার মেহেদী রাত ছিল সেদিন বিয়ের আসরেই সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মা’রা যান তিনি। একই দিন বাদে আসর জানাজা নামাজ শেষে স্থানীয় কবরস্থানে তার লা’শ দাফন করা হয়।

জুম বাংলা 



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: